আগামী জুলাই মাসে দেশের সব জেলায় অসহায় মানুষের কল্যাণে ‘সেবামূলক মেলা’র আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি বলেন, “এই মেলার মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত মানুষ হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন। এভাবে তাদের সচেতন করে তোলা সম্ভব হবে।”
সোমবার (১৬ জুন) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা চান উপদেষ্টা
এলজিআরডি উপদেষ্টা
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রোপাগান্ডা মিথ্যা প্রমাণ করেছে স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকার
উপদেষ্টা বলেন, “সমাজ থেকে সহিংসতা দূর করতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে আমরা কাজ করব। গত ১০ মাসে আমাদের যে অর্জন তা ধরে রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “দেশের কথা ভেবে, ভবিষ্যতের কথা ভেবে সমাজে অবহেলিত মানুষের সেবামূলক কাজে মন্ত্রণালয়ের কাঠামোগত পরিবর্তনের যে কাজ হাতে নিয়েছি তা দ্রুতগতিতে করতে চাই। এ সেবামূলক কাজ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করব এবং আমাদের এ অর্জনকে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের উৎসর্গ করব।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট স ব ম লক উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।