আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব
Published: 16th, June 2025 GMT
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১ হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। আগামী ২৩ ও ২৪ আগস্ট মালয়েশিয়ার কেবাংসান বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
আইইইই ইয়েসিস ১২-২০২৫ (ইয়ুথ ইন্ডিয়েভার্স ফরর সোশাল ইনোভেশন ইউজিং সাসটেইনেবল টেকনোলজি) একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা, যা বিভিন্ন দেশের তরুণ উদ্ভাবকদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই সমাধান খুঁজতে উৎসাহিত করে।
আরো পড়ুন:
করোনা ও ডেঙ্গু: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা
ক্যানস্যাট প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় দ্বিতীয় ইউআইইউ অ্যাসেন্ড দল
তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, নাইমুর রহমান ও কর্নেল আহমেদ রাহুল।
অনলাইনে তাদের দাখিলকৃত প্রজেক্ট ‘ইন্টেলিজেন্স সেফগার্ড’ একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক স্মার্ট ডিটেকশন অ্যান্ড ইমার্জেন্সি রেসপন্স সিস্টেম-বিচারকমন্ডলী দ্বারা প্রশংসিত হয়ে বিশেষ বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। এই প্রজেক্টটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র পাল।
সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র পাল বলেন, “পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর প্রজেক্ট ‘ইন্টেলিজেন্স সেফগার্ড’ একটি অত্যাধুনিক বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক স্মার্ট ক্রাইম ডিটেশন অ্যান্ড ইমার্জেন্সি রেসপন্স সিস্টেম মানুষের কণ্ঠ, ছবি, ভিডিও এবং যানবাহনের নাম্বার প্লেট ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ প্রতিরোধে সহায়তা করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এই প্রজেক্টের আইডিয়া বাস্তবায়িত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে অপরাধের মাত্রা কমবে, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”
তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এক বার্তায় তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি করেছে এবং প্রমাণ করেছে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের মেধা ও দক্ষতার অধিকারী। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের যাত্রা আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন ও কৃতিত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাদের সাফল্য সকল শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করবে বলে বিশ্বাস করেন তারা।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।