কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. আলমগীর (১৮) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে অপর এক রোহিঙ্গা।

সোমবার দুপুরে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ডি ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নূরে আযম। নিহত আলমগীর ওই ক্যাম্পের ডি ব্লকের মৃত মোহাম্মদ হারেছের ছেলে।

নূরে আযম জানান, আলমগীরের সাথে সি ব্লকের রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুরুল আলম তার হাতে থাকা ওয়ান শুটার গান দিয়ে আলমগীরের বুকে পাঁজরের নিচে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশে থাকা লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমকে ক্যাম্প সংলগ্ন জিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মরদেহটি টেকনাফ থানার পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

টেকনাফ থানার ওসি তদন্ত হিমেল রায় জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।                             

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কন ফ আলমগ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে তরুণকে গুলি করে হত্যা
  • দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২
  • বিএনপির সঙ্গে চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু