বৃষ্টিতে স্লিপ করছিল চাকা, জটিলতায় মধুমতি এক্সপ্রেস
Published: 17th, June 2025 GMT
বৃষ্টির পানির কারণে যাত্রা শুরুর পর জটিলতায় পড়েছে রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন। বার বার চাকা স্লিপ করার কারণে পথে থেমে থেমে চলেছে ট্রেনটি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে রাজশাহী থেকে যাত্রা শুরুর পরই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় ট্রেনটি।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সকাল ৭টার দিকে রাজশাহীর বুধপাড়া এলাকায় ট্রেনটি থেমে যেতে বাধ্য হয়। এ কারণে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৮ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী স্টেশন থেকে চার কিলোমিটার দূরে গিয়ে হঠাৎ থেমে যায় মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি। একবার চলার পর আবারও থেমে যায়। পরে কিছু সময় পর ট্রেনটি আবারো চলতে শুরু করে। এরপর হরিয়ান স্টেশনে পৌঁছালে সেখানে আরও একবার থেমে যায় ট্রেনটি। কিছুদূর যাওয়ার পর সেটি আবার হরিয়ান স্টেশনে ফিরে আসে।
এসময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি হরিয়ান স্টেশন অতিক্রম করার পর মধুমতি এক্সপ্রেস পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এতে হরিয়ান স্টেশন এলাকায় প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ট্রেনটিকে।
মধুমতি এক্সপ্রেসের এক যাত্রী সুমন আহমেদ বলেন, ‘‘স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর ট্রেন হঠাৎ থেমে যায়। কিছুটা চলার পর আবারও থামে। পরে আবার যাত্রা শুরু করে।’’
এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক শহিদুল আলম বলেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে লাইনের ওপর পানি ছিল। এতে চাকা ভিজে গিয়ে হুইল স্লিপ করছিল। ফলে থেমে থেমে ট্রেন চলছিল।”
তিনি জানান, হরিয়ান স্টেশনের কর্মীরা ইঞ্জিনের বগিটির চাকার নিচে বালু দিয়ে সমস্যার সমাধান করেন। এই সমস্যার কারণে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ১৮ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়। তবে তার পরে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস যথাসময়েই রাজশাহী থেকে ছেড়ে গেছে।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল