বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। তার পুরো নাম—  গোবিন্দ অরুণ আহুজা। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। বিয়ের পর স্বামীর পদবী ‘আহুজা’ নামের সঙ্গে ব্যবহার করছেন তিনি। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। কয়েক মাস আগে খবর চাউর হয়, ভেঙে যাচ্ছে এই দম্পতির বিয়ে।

সংসার ভাঙতে যাওয়ার খবরে দীর্ঘদিন নেতিবাচকভাবে চর্চিত হয়েছেন গোবিন্দ-সুনীতা। কেবল তাই নয়, এ নিয়ে ট্রলের শিকারও হয়েছেন তারা। পরে এই গুঞ্জন মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। ফের বিচ্ছেদের আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইনস্টাগ্রামে সুনীতার নামের পদবীকে কেন্দ্র করে এবার বিচ্ছেদের সূচনা হয়েছে। 

আগে ‘সুনীতা আহুজা’ ছিল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। এখন ‘এসসুনীতা’ দেখা যাচ্ছে। মূলত এরপরই নতুন করে বিচ্ছেদের চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ নিয়ে সুনীতার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

আরো পড়ুন:

মান্নারা চোপড়ার বাবা মারা গেছেন

হাউজফুল-৫: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?

সুনীতা বলেন, “আমি ‘আহুজা’ মুছে ফেলেছি এবং নামের আগে অতিরিক্ত একটি ‘এস’ যুক্ত করেছি। এই ‘এস’ আমার নামের প্রথম অংশের। কিন্তু এই পরিবর্তন আরো এক বছর আগে করেছি।”

এই পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে সুনীতা বলেন, “এটি সম্পূর্ণরূপে সংখ্যাতত্ত্বের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। আমি নাম-খ্যাতি চাই। এটা কে না চায়, তাই না?”

তাহলে নাম পরিবর্তন কি আপনাকে সেই স্বীকৃতি এনে দিয়েছে, যা চেয়েছিলেন? জবাবে সুনীতা বলেন, “অবশ্যই! আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না যে আমি গত কয়েক মাসে কতটা ভাইরাল হয়েছি? আমি পুরো ইন্টারনেট জুড়ে আছি!”

স্বামীর নামের উপাধি বাদ দেয়ার বিষয়ে সুনীতা বলেন, “আমি আহুজা, এটি পরিবর্তন হবে না। আমি যখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব, তখনই উপাধিটি বাদ দেওয়া হবে।”

গত মে মাসে টাইমস নাউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ নিয়ে সুনীতা বলেন, “যেদিন সত্যি এ রকম কিছু হবে, আপনারা আমার এবং গোবিন্দর কাছ থেকেই জানতে পারবেন। সেদিন না হয় বিশ্বাস করবেন। আমি চিন্তাই করতে পারি না, গোবিন্দ আমাকে ছাড়া বাঁচবে, আর আমি গোবিন্দকে ছাড়া বাঁচতে পারব! গোবিন্দ কখনো কোনো বোকা নারীর জন্য তার পরিবার ছেড়ে যাবে না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

৫৫০ শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সশরীরে আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাবি প্রশাসন জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে মেধাতালিকা প্রকাশ করে ভর্তি নেওয়ার পরো ৫৫০টি আসন শূন্য থাকায় নতুন করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের অধীন ইউনিটভিত্তিক ছেলেদের ২৮৭টি ও মেয়েদের ২৬৩টিসহ মোট ৫৫০টি আসন শূন্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ১৬৫টি, ‘বি’ ইউনিটে ৯০টি, ‘সি’ ইউনিটে ১৮৪টি, ‘সি১’ ইউনিটে পাঁচটি, ‘ডি’ ইউনিটে ৮১টি এবং ‘ই’ ইউনিটে ২৫টি আসন শূন্য রয়েছে।

এসব আসনে ভর্তির জন্য মেধা ও উপস্থিতির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের নতুন করে পছন্দক্রম ফরম পূরণ করে আবেদন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শূন্য আসনের বিপরীতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বুধবার (১৮ জুন) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিট অফিস কর্তৃক সরবরাহকৃত নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সশরীরে আবেদন না করলে, পরবর্তীতে আর কোনো ধাপে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না।

আবেদনের সময় শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও পছন্দক্রমের ফরমের কপি সঙ্গে আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আবেদন জমা নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুসারে পরবর্তী ধাপে ভর্তির জন্য মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ