সুনামগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
Published: 17th, June 2025 GMT
সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায় গোসল করার সময় পুকুরের পানিতে ডুবে বুশরা আক্তার (১০) ও ফাতেহা বেগম (৮) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিণাপাটি গ্রামে মারা যায় তারা। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন।
মারা যাওয়া- বুশরা আক্তার হরিণাপাটি গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে। ফাতেহা বেগম (৮) মৃত রফিকুল ইসলামের বোন রেহেনা বেগমের মেয়ে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু
ফুলকুমার নদে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের পৌর শহরের খাইমতর এলাকা থেকে সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিণাপাটি গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে যায় ফাতেহা বেগম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বুশরা আক্তারের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে নামে সে। এসময় দুই শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
স্থানীয়রা পরে তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানকার চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো.
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কার্যালয় ভবনে হামলা: অক্ষত আছেন রেডিও তেহরানের ৮ বাংলাদেশি
ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) কার্যালয় ভবনে গতকাল সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই ভবনে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও তেহরানেরও দপ্তর রয়েছে। সেখানে বাংলা বিভাগে কাজ করেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। ওই হামলায় তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হলেও ঘটনার সময় উপস্থিত বাংলাদেশের আটজন নাগরিক অক্ষত রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এ তথ্য জানান। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিষয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব জানান, আইআরআইবি কার্যালয় ভবনে হামলার সময় ইরানের রেডিও (রেডিও তেহরান) দপ্তরে আট বাংলাদেশি ছিলেন। তবে সৌভাগ্যবশত তাঁদের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাঁরা ভালো আছেন। তাঁরা রেডিওর বাংলা বিভাগে কাজ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সব মিলিয়ে এখন দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি ইরানে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসে ২ জন কর্মকর্তা, ৫ জন কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন রয়েছেন। রেডিও তেহরানের ৮ জন বাংলাদেশি ও তাঁদের পরিবারসহ রয়েছেন ২৭ জন। তেহরানে শিক্ষার্থী রয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। পেশাজীবী আছেন প্রায় ১০ জন। সব মিলিয়ে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি রয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের অন্যান্য জায়গায় প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি আছেন, তাঁরা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সে দেশে বসবাস করছেন। সেখানে বিয়ে করে তাঁরা স্থায়ী হয়েছেন। প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন। এর বাইরে আরও প্রায় ৮০০ বাংলাদেশি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ইরানে বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করছেন। এ ছাড়া মানব পাচারের ট্রানজিট দেশ হিসেবে ইরানে সব সময় ৩০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি অবস্থান করেন অন্য দেশে পাচার হওয়ার অপেক্ষায়।