মুন্সীগঞ্জ শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে সদর উপজেলার মোল্লাচর এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। গত রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে পন্টুন থেকে তিনি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। 

মারা যাওয়া যুবকের নাম লোকমান হোসেন (৩৭)। তিনি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

মেহেরপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

আরো পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পড়ে যুবক নিখোঁজ 

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো.

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‍“নিখোঁজের সন্ধানে ডুবুরি দল কাজ করেছে। অন্ধকার ও নদীতে ঘূর্নী স্রোতের কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ছিল। আজ সকালে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। মুন্সীগঞ্জ সদরের মোল্লারচর সংলগ্ন ধলেশ্বর নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”

তিনি জানান, ভোলার তজুমদ্দিন থেকে ঢাকা সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৩। রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যাত্রা বিরতিতে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট নোঙর করে লঞ্চটি। সোহেল নামে এক যাত্রীকে এগিয়ে দিতে লঞ্চ থেকে ঘাটে নামেন লোকমানসহ কয়েকজন। পরে লঞ্চে উঠার সময় লোকমান পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ বিকেলে যুবকের মরদেহ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ র মরদ হ য বক র

এছাড়াও পড়ুন:

বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন

কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ