আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৭১ হাজার। গত সোমবার রাতে চেলসির ম্যাচে এর মধ্যে ৫০ হাজার আসন ফাঁকা ছিল। অথচ চেলসির প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরই দল লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি। তার পরও দর্শক মাঠে আসেননি। 

প্রায় ফাঁকা গ্যালারিতে ২-০ গোলে জিতে আসর শুরু করেছে চেলসি। জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে ব্রাজিলিয়ান জায়ান্ট ফেমেঙ্গোও। তারাও একই ব্যবধানে হারিয়েছে তিউনিসিয়ার ক্লাব এস্পেরেন্সকে। তবে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টাইন জায়ান্ট বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে বেনফিকা। 

চেলসির হয়ে গোল দুটি করেন পেদ্রো নেতো ও এনজো ফার্নান্দেজ। তবে জয় দিয়ে আসর শুরু করেও মিশ্র অনুভূতি চেলসি বস এনজো মারেস্কার, ‘কেমন একটা উদ্ভট পরিবেশে ম্যাচ খেললাম। স্টেডিয়াম প্রায় খালি ছিল। আমরা পেশাদার এবং আমাদের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিতে নিতে হয়। যখন দর্শকে পূর্ণ স্টেডিয়ামে খেলা হয়, তখনও মানিয়ে নিতে হয়। আবার দর্শক না থাকলেও মানিয়ে নিতে হয়।’ 

বিসিবি জানিয়েছে, ফিফার প্রত্যাশা ছিল ২৬ হাজারের মতো দর্শক মাঠে উপস্থিত থাকবে। কিন্তু মাঝের একটি গ্যালারিই শুধু পূর্ণ হয়েছে। বড় গ্যালারিগুলো প্রায় ফাঁকা ছিল। এত কম সংখ্যক দর্শক উপস্থিতি হতাশ করেছে সবাইকে। টিকিটের দাম কমিয়েও ম্যাচে দর্শক টানা যায়নি। 

অথচ দুই বছর আগে প্রি মৌসুম একটি টুর্নামেন্টে এই মাঠেই নিউক্যাসলের মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি। সে ম্যাচে ৭০ হাজার দর্শক ছিল স্টেডিয়ামে। অথচ সেটি ছিল প্রীতি টুর্নামেন্ট। কিন্তু ফিফা আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে, যেখানে বিশ্বকাপ নাম লাগানো আছে, সেখানে দর্শকখরা আয়োজকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। 

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল অতটা জনপ্রিয় নয়। যদি তাই হয়, তাহলে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়তে হতে পারে আয়োজকদের। এখানে ভিন্ন মতও রয়েছে। ফিফার এই নতুন টুর্নামেন্ট মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি বলে বিবিসি উল্লেখ করেছে। 

এ ছাড়া খেলা হচ্ছে দুপুর ২টা ও ৩টায় সময়ে। কাজের সময় খেলা আয়োজন করলে যুক্তরাষ্ট্রে দর্শক পাওয়া যাবে না বলে বোদ্ধাদের অভিমত। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া সাংবাদিক ডগ রবারসন বিবিসিকে বলেন, ‘সোমবার দুপুর ৩টার সময় খেলা আয়োজন করলে তো এখানে দর্শক আসবে না। সত্যি বলতে, এর পরও যে সংখ্যক দর্শক এসেছেন, সেটা দেখে আমি অবাক হয়েছি।’ 

তাঁর মতে, এ টুর্নামেন্ট নতুন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই এর জন্য অর্থ খরচ করতে মানুষ ততটা আগ্রহী নয়। বরং আগামী বছর ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য মানুষ অর্থ জমাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সাংবাদিক জনাথন টানেনওয়াল্ডের মতে, এ টুর্নামেন্ট নিয়ে ফিফা ঠিকমতো মার্কেটিং না করায় দর্শক আসছেন না।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনজ ফ র ন ন দ জ চ লস ক ল ব ব শ বক প য ক তর ষ ট র র ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

ক্লাব বিশ্বকাপে দর্শকখরা, চেলসি ম্যাচের ৫০ হাজার আসন ফাঁকা

আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৭১ হাজার। গত সোমবার রাতে চেলসির ম্যাচে এর মধ্যে ৫০ হাজার আসন ফাঁকা ছিল। অথচ চেলসির প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরই দল লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি। তার পরও দর্শক মাঠে আসেননি। 

প্রায় ফাঁকা গ্যালারিতে ২-০ গোলে জিতে আসর শুরু করেছে চেলসি। জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে ব্রাজিলিয়ান জায়ান্ট ফেমেঙ্গোও। তারাও একই ব্যবধানে হারিয়েছে তিউনিসিয়ার ক্লাব এস্পেরেন্সকে। তবে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টাইন জায়ান্ট বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে বেনফিকা। 

চেলসির হয়ে গোল দুটি করেন পেদ্রো নেতো ও এনজো ফার্নান্দেজ। তবে জয় দিয়ে আসর শুরু করেও মিশ্র অনুভূতি চেলসি বস এনজো মারেস্কার, ‘কেমন একটা উদ্ভট পরিবেশে ম্যাচ খেললাম। স্টেডিয়াম প্রায় খালি ছিল। আমরা পেশাদার এবং আমাদের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিতে নিতে হয়। যখন দর্শকে পূর্ণ স্টেডিয়ামে খেলা হয়, তখনও মানিয়ে নিতে হয়। আবার দর্শক না থাকলেও মানিয়ে নিতে হয়।’ 

বিসিবি জানিয়েছে, ফিফার প্রত্যাশা ছিল ২৬ হাজারের মতো দর্শক মাঠে উপস্থিত থাকবে। কিন্তু মাঝের একটি গ্যালারিই শুধু পূর্ণ হয়েছে। বড় গ্যালারিগুলো প্রায় ফাঁকা ছিল। এত কম সংখ্যক দর্শক উপস্থিতি হতাশ করেছে সবাইকে। টিকিটের দাম কমিয়েও ম্যাচে দর্শক টানা যায়নি। 

অথচ দুই বছর আগে প্রি মৌসুম একটি টুর্নামেন্টে এই মাঠেই নিউক্যাসলের মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি। সে ম্যাচে ৭০ হাজার দর্শক ছিল স্টেডিয়ামে। অথচ সেটি ছিল প্রীতি টুর্নামেন্ট। কিন্তু ফিফা আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে, যেখানে বিশ্বকাপ নাম লাগানো আছে, সেখানে দর্শকখরা আয়োজকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। 

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল অতটা জনপ্রিয় নয়। যদি তাই হয়, তাহলে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়তে হতে পারে আয়োজকদের। এখানে ভিন্ন মতও রয়েছে। ফিফার এই নতুন টুর্নামেন্ট মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি বলে বিবিসি উল্লেখ করেছে। 

এ ছাড়া খেলা হচ্ছে দুপুর ২টা ও ৩টায় সময়ে। কাজের সময় খেলা আয়োজন করলে যুক্তরাষ্ট্রে দর্শক পাওয়া যাবে না বলে বোদ্ধাদের অভিমত। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া সাংবাদিক ডগ রবারসন বিবিসিকে বলেন, ‘সোমবার দুপুর ৩টার সময় খেলা আয়োজন করলে তো এখানে দর্শক আসবে না। সত্যি বলতে, এর পরও যে সংখ্যক দর্শক এসেছেন, সেটা দেখে আমি অবাক হয়েছি।’ 

তাঁর মতে, এ টুর্নামেন্ট নতুন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই এর জন্য অর্থ খরচ করতে মানুষ ততটা আগ্রহী নয়। বরং আগামী বছর ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য মানুষ অর্থ জমাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সাংবাদিক জনাথন টানেনওয়াল্ডের মতে, এ টুর্নামেন্ট নিয়ে ফিফা ঠিকমতো মার্কেটিং না করায় দর্শক আসছেন না।   

সম্পর্কিত নিবন্ধ