হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সুমাইয়া আক্তার (৯) নামে এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে কে বা কারা কুপিয়ে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের এক্তিয়ারপুর গ্রামের একটি মাঠে ফেলে রাখে। রক্তাক্ত অবস্থায় মধ্যরাতে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

সুমাইয়া এক্তিয়ারপুর গ্রামের বেনু মিয়ার মেয়ে। শিশুটির বাবার অভিযোগ, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাঁর আপন ভাই রেনু মিয়া সুমাইয়াকে খুন করেছে।

ছাতিয়ান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুর রউফ জানান, বেনু মিয়ার সঙ্গে তাঁর ভাই রেনু মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাদের মধ্যে এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। ঘটনার পর থেকে রেনু মিয়াকে গ্রামে দেখা যাচ্ছে না।

ছাতিয়ান পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আশীষ কুমার দে জানান, নিহত সুমাইয়ার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, শিশু সুমাইয়া হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই রাতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে আবু রায়হান নেহাল (১৭) নামে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার ভাইটকান্দি গ্রামের সোবহানের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে নেহালের পচা-গলা দেহ উদ্ধার করা হয়। নেহাল ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং ছনধরা ইউনিয়নের হরিণাদী গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। গত ১৩ জুন রাত থেকে সে নিখোঁজ ছিল। তার সন্ধানে গত ১৫ জুন নেহালের ভাই মো.

মামুন ফুলপুর থানায় জিডি করেছিলেন।

স্থানীয়দের দাবি, নেহালের সঙ্গে তাদের প্রতিবেশী ও সহপাঠী একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি মেয়েটির বাবা শেখ ফরিদ ও ভাই সাগর মিলে নেহালকে মারধর করে। নেহাল নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই ওই মেয়ের পরিবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল হাদী বলেন, মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সন্দেহভাজনরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে সোমবার বিকেলে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া বাজারে ভাড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে মারামারিতে সাইফুল ইসলাম কিরণ (৩৫) নামে এক অটোরিকশাচালক মারা গেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মিজান হোসেনকে আটক করেছে। কিরণ উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের প্রসাদপুর দাই বাড়ির মৃত মো. হানিফের ছেলে। আটক মিজান একই ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল হাশেম মুন্সিবাড়ির মৃত নাজির আহম্মদের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে সোমপাড়া বাজারে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে থাই অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসায়ী মিজানের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় কিরণের। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। সন্ধ্যায় কিরণ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। 
 
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব শিয়াচর লালখা এলাকা থেকে গতকাল হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় জনি সরকার (২৫) নামে এক পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালে গার্মেন্ট শ্রমিকরা পূর্ব শিয়াচর লালখা এলাকার ড্রেনে বস্তা থেকে মানুষের পায়ের একটি অংশ বের হওয়া দেখেন। তারা কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জুকে জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন।

জনি সরকার সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার বিষ্টপুর গ্রামের করুনা সরকারের ছেলে। করুনা সরকার জানান, তিনি ফতুল্লা স্টেডিয়ামের নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। জনি সোমবার রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে লাশ শনাক্ত করেন। সে এলাকার মাদকাসক্ত ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা করত।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, মরদেহের নাক-মুখে আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় কাপড় পেঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জে আসমা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূকে ঘরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার কলসকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের কলসকাঠী গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, তাঁর স্ত্রী মাগরিবের নামাজের পর মোবাইল ফোনে কল করে তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন তিনি বাসায় গিয়ে রক্তাক্ত মরদেহ পান।  

(ব্যুরো, নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর)


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য উপজ ল র স মব র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাকেরগঞ্জে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কলসকাঠী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের নাম আসমা বেগম (৫৫)। তিনি উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের কলসকাঠী গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী আবুল হোসেন জানান, মাগরিবের নামাজের পর মোবাইল ফোনে আসমা তাকে দেখতে চান। তিনি বাসায় ফিরে আসমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আসমাকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তার স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির ২০ বছর পর আত্মসমর্পণ 

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যার রহস্য উদঘাটন

নিহতের মেয়ে মৌসুমি আক্তার জানান, তার মাকে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নাহিদ হাসান জানান, নিহতের গলায় ও ঘাড়ের ডান পাশে দুইটি বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। 

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, কলসকাঠীতে একজন গৃহবধূকে হত্যার খবর পেয়েছি। মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাকেরগঞ্জে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা