যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের একটি সি ফুড রেস্তোরাঁ। নাম পিটার’স ক্ল্যাম বার। রেস্তোরাঁটির অ্যাকুয়ারিয়ামে একটি লবস্টার রাখা ছিল। এর বয়স আনুমানিক ১১০ বছর। ওজন সাড়ে ৯ কেজি। সম্প্রতি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ লবস্টারটিকে আটলান্টিক মহাসাগরে অবমুক্ত করেছে।

লং আইল্যান্ডের হ্যাম্পস্টেডে অবস্থিত রেস্তোরাঁটির মালিক বুচ ইয়ামালি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লবস্টারটি অ্যাকুয়ারিয়ামে ছিল। আদর করে লরেঞ্জ নামে ডাকা হতো একে। ন্যাশনাল লবস্টার দিবস ও বাবা দিবস উপলক্ষে লবস্টারটিকে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে এটি ফিরে পায় স্বাধীন জীবন।

রেস্তোরাঁয় খেতে আসা মানুষের কাছেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল লবস্টারটি। এটি সম্পর্কে ইয়ামালি আরও বলেন, ‘এই প্রজাতির লবস্টারগুলো সাধারণত এত দিন বাঁচে না, কিন্তু এটি বেঁচে ছিল। তাই আমরা ভাবলাম, বাবা দিবস উদ্‌যাপন করতে লবস্টারটি ছেড়ে দেওয়ার মতো ভালো উপায় আর কী হতে পারে। সে আমাদের একধরনের পোষা প্রাণীর মতো হয়ে উঠেছিল। মানুষ তাকে দেখতে আসত, তার সঙ্গে ছবি তুলত। সে যেন দোকানের একটা প্রতীক হয়ে উঠেছিল।’

বাবা দিবসের দিন হ্যাম্পস্টেড টাউনের সুপারভাইজার ডন ক্লেভিন ও নাসাউ কাউন্টির আইনপ্রণেতা জন ফেরেটি ওই রেস্তোরাঁয় উপস্থিত হন। মুক্তি দেওয়ার আগে লরেঞ্জকে ‘ক্ষমা’ করার ঘোষণা দেন তাঁরা। এরপর তাকে আটলান্টিক বিচ রিফে অবমুক্ত করা হয়।

ইয়ামালি বলেন, লরেঞ্জোকে মুক্ত পরিবেশে দ্বিতীয়বারের মতো জীবনযাপনের সুযোগ দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে মিস করব। কিন্তু আমি মনে করি, তাকে ছেড়ে দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। যদি সে এখানে মারা যেত, সেটা ভালো কিছু হতো না। তা ছাড়া আমি কখনোই মন থেকে তাকে বিক্রি করে দিতে পারতাম না।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে সারফেস ক্র্যাকিং হয় না

‘ঢালাইয়ে অর্ডিনারি পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (ওপিসি) ব্যবহার হলে হিট এবং হাইড্রেশন তৈরি হয় বেশি। তবে র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে এর মাত্রা কম। ফলে এটি কংক্রিটকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখে। এই সিমেন্ট ব্যবহারে সারফেস ক্র্যাকিং হয় না বললেই চলে।’

সমকালের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন বগুড়ার প্রকৌশলী মো. অলিউল ইসলাম দুর্লভ।

অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ওপিসি দিয়ে সিমেন্টের যাত্রা হলেও এখন প্রতিনিয়ত এটি আধুনিক হচ্ছে। সিমেন্টের পাশাপাশি রডও আধুনিক হচ্ছে। অর্থাৎ একদিকে আমরা নির্মাণ সরঞ্জাম আধুনিক করছি। অন্যদিকে নির্মাণ উপাদানগুলো আধুনিক হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট। বহির্বিশ্বে উঁচু ভবন নির্মাণে অনেক আগে থেকে এই সিমেন্ট ব্যবহার হলেও বাংলাদেশে এটি নতুন।’

র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট এবং ওপিসি পুরোপুরি আলাদা উল্লেখ করে ঢাকার প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেডের (পিবিএল) প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম বলেন, ‘র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে ট্রাই ক্যালসিয়াম সিলিকেট ব্যবহার হয় বেশি। এতে ক্লিংকার ব্যবহার হয় সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ। আবার ক্যালসিয়াম সালফেট ব্যবহার হয় কম।’

বিভিন্ন প্রকল্পে ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট ব্যবহারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট ব্যবহারে বেশকিছু সুবিধা পাচ্ছি। এই সিমেন্ট দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ে সময় লাগে কম, দ্রুত কাজ শেষ করা যায়। ফলে নির্মাণ ব্যয় অনেক কমে আসে।’

প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম বলেন, ‘শুধু ভবন নির্মাণ নয়, অনেক সময় আমাদের রেট্রোফিটিং করতে হয়। এই কাজে দ্রুত সেটিং ও স্ট্যান্ডের প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টের বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প রোধ করা সম্ভব নয়, তবে ক্ষতি কমানো সম্ভব। ঢাকা শহরে অল্প মাত্রার ভূমিকম্পে বড় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে ভবন নির্মাণে সিমেন্ট, রডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ