করোনা রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ৫০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মঙ্গলবার (১৭ জুন) এই করোনা ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের পুরাতন ভবনে এই ওয়ার্ডটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ সেবা দিতে প্রস্তুত হবে বলে আশা করছে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ।

এর আগে মেয়র শাহাদাতের নেতৃত্বে এক সভার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালও করোনা রোগীদের সেবায় বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

পরিদর্শনকালে মেয়র হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষকে এই উদ্যোগ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। 

পরে তিনি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২০২৫ (২০ তম ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের এম.

বি.বি.এস কোর্সের অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

ঢাকা/রেজাউল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিপর্যয় থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন, ৬ দফা দাবি

বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকে বিপর্যয় থেকে বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ হাওর অঞ্চলবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়। এতে টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

এর আগে প্রথম আলোতে গত বৃহস্পতিবার ‘অস্তিত্ব–সংকটে টাঙ্গুয়ার হাওর: শূন্য হচ্ছে প্রকৃতির ভান্ডার’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকা, অন্যতম রামসার সাইট। সেখানে অবাধে পাখি উড়ে বেড়ায়, মাছেরা নির্বিঘ্নে সাঁতার কাটে। বর্তমানে অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত ও অব্যবস্থিত পর্যটন ব্যবসার ফলে এই চিত্র উধাও হতে চলেছে। হাওরটিতে প্রায় ২০০ হাউসবোটে কয়েক হাজার পর্যটক সময়ে-অসময়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন, রাত যাপন করছেন। তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা পলিথিন, প্লাস্টিক পণ্য, বোতল ও মনুষ্যবর্জ্য পানি ও মাটিতে আটকে দূষণ তৈরি করছে। এর ফলে অনেক জায়গায় মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠছে, কৃষিকাজেরও অসুবিধা হচ্ছে। উচ্চ শব্দের গানবাজনা, উদ্দাম নৃত্য, রাতের উজ্জ্বল আলোর কারণে সেখানকার পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

বক্তারা আরও বলেন, ২০১৮ সালের পাখিশুমারি অনুযায়ী, টাঙ্গুয়ার হাওরে জলচর পাখির সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার। অথচ বর্তমানে তা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজারে। মাছের পরিমাণও কমছে। টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রাণ-প্রকৃতির এমন অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।

মানববন্ধনে উত্থাপিত ৬ দফা দাবিগুলো হলো হাউসবোটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে শর্ত মেনে হাউসবোট পরিচালনা; ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল প্রভৃতি পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত স্থানে ফেলা বা পুর্নব্যবহার করা; অনতিবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে টাঙ্গুয়ার হাওরের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়দায়িত্বসহ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রকাশ ও প্রচার; জেলা প্রশাসকের সহায়তায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মনুষ্যবর্জ্য ব্যবস্থাপনা; মানুষের চলাচল, অবস্থান, শব্দ, আলো প্রভৃতি যাতে পাখি, মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর ক্ষতি না করে—এমন ব্যবস্থা গ্রহণ; অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে পরিবেশ দূষিত না করার নীতি অবলম্বন এবং জেলা প্রশাসন উদ্যোগে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা।

এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন হাওর অঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান। এতে আরও বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ উমর খৈয়াম ও গোলাম শফিক; হাওর উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন; হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক জাকিয়া শিশির; হাওর অঞ্চলবাসীর সদস্য জেসমিন নূর, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী; প্রাণী ও প্রকৃতি রক্ষা ফাউন্ডেশনের ইবনুল সাঈদ রানা; হাওর অঞ্চলবাসী ঢাকা জেলার সদস্যসচিব কামরুল হাসান, সাংবাদিক নেতা শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ