ঝালকাঠিতে সুরাইয়া আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে ঝালকাঠি শহরের পৌর খেয়াঘাট সংলগ্ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

‎সুরাইয়ার বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বারইকরন গ্রামে। তার বাবার নাম মো. জাকির হোসেন। সুরাইয়া ঝালকাঠি শহরে নানাবাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত। সে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

‎সুমাইয়ার পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সুরাইয়া রিফাত নামের এক ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। পরে বাসায় ফিরে কান্নাকাটি করতে থাকে। সে তার নানিকে জানায়, ছেলেটি তাকে গালি দিয়েছে। এর পর সে আইসক্রিম খেতে চায়। নানি আইসক্রিম আনতে বাইরে গেলে সুরাইয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

‎ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বলেছেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/‎অলোক/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝ লক ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

মহাকাশে পাঠানো হলো আইসক্রিম

স্পেসএক্সের ফ্যালকন–৯ রকেটে করে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা হয়েছে নর্থরপ গ্রুম্যান কোম্পানির কার্গো মহাকাশযান ‘সিগনাস এক্সএল’। ১৪ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মিশনে মহাকাশযানে ৫ টনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রাংশ, নাইট্রোজেন, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন গবেষণাসামগ্রী। মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ খাবার হিসেবে ক্ল্যামস, ওয়েস্টার্স, স্মোকড স্যামন, রোস্টেড টার্কি ও আইসক্রিম পাঠানো হয়েছে।

এই মিশন সিগনাস এক্সএলের প্রথম যাত্রা। পুরোনো সংস্করণের সিগনাসের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা ও ২ হাজার ৬০০ পাউন্ড বেশি মালামাল বহন করতে সক্ষম। ১৭ সেপ্টেম্বর সিগনাস এক্সএল মহাকাশ স্টেশনের রোবটিক বাহুর কাছে পৌঁছাবে। কার্গো মহাকাশযানটিতে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, খাদ্য সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রয়েছে। এর মধ্যে স্টেশনের ইউরিন প্রসেসর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের প্রতিস্থাপন যন্ত্রাংশও অন্তর্ভুক্ত।

সিগনাস এক্সএল আগের রকেটের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা। নাসা ও নর্থরপ গ্রুম্যান এই অভিযানকে আইএসএসের সরবরাহ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। মহাকাশচারীদের দীর্ঘমেয়াদি মিশনে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ গবেষণার উপকরণ পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে কাজের অংশ হিসেবে এই মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মহাকাশে পাঠানো হলো আইসক্রিম