টেকনাফে সৈকতে ভেসে এল মাঝিমাল্লাবিহীন ট্রলার
Published: 18th, June 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হাজমপাড়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে মাঝিমাল্লাবিহীন একটি বড় ফিশিং ট্রলার। জোয়ারের পানিতে আটকে পড়া ট্রলারটি উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রলারে থাকা মালামাল ও কাঠ স্থানীয় লোকজন লুট করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বুধবার বিকেলে ট্রলারটি হাজমপাড়া সৈকতে ভেসে আসে। এ সময় সেটিতে কোনো মাঝিমাল্লা ছিলেন না। বিষয়টি স্থানীয় কোস্টগার্ড খতিয়ে দেখছে।
স্থানীয় জেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এর মধ্যে আজ বিকেলে বড় আকারের একটি ফিশিং ট্রলার ভেসে আসে। সেটি সৈকতের কাছেই আটকে পড়ে এবং ঢেউয়ের ধাক্কায় ভাঙতে শুরু করে। এরপর কিছু লোকজন ট্রলার থেকে কাঠ ও মালামাল লুটে নেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ট্রলারটি মানব পাচারে ব্যবহারের জন্য সমুদ্রে রাখা হয়েছিল। সাগর উত্তাল হওয়ায় পাচারকারীরা ট্রলারটি ফেলে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।
টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মাঝিমাল্লাবিহীন একটি ট্রলার ভেসে আসার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় কোস্টগার্ড বিষয়টি তদারক করছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত ২০
ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক কুকুর পথচারীদের আক্রমণ করে কামড় দেয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানসহ অন্তত ১৫ জনকে হাসপাতালে টিকাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামদহ মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা দীপু মিয়া বলেন, ‘বিকেলে আমাদের এলাকায় এক পথচারীকে একটি পাগলা কুকুর কামড় দেয়। কুকুরটি কয়েকজন পথচারীকে কামড় দিয়েছে, এমনকি বাড়ির ভেতরে ঢুকে শিশুদেরও আক্রমণ করেছে। দীর্ঘদিন শহরের বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে টিকা দেওয়া হয় না। এখন শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু হামদহ মোল্লাপাড়াই নয়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পাগলা কুকুর মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। সন্ধ্যায় সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সামনে এক শিশুকে বাঁচাতে গেলে জামির নামে এক যুবক কুকুরের কামড়ে আহত হন। একইভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ঢুকে শাহিনুর রহমান নামে এক কর্মকর্তাকে কামড় দেয় কুকুরটি। আর কাঠপট্টি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাকও কুকুরের কামড়ে আহত হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসএএও শাহিনুর রহমান বলেন, ‘অফিস শেষ করে গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল নিচ্ছিলাম। হঠাৎ গাড়ির নিচ থেকে একটি কুকুর দ্রুত আমার দিকে আসে। তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটি আমার পায়ে কামড়ে দেয়। পরে অনেক চেষ্টা করে কুকুরটিকে তাড়াতে পারি। পরে হাসপাতালে এসে টিকা নিয়েছি।’
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী বসাক বলেন, ‘ঝিনাইদহ শহর থেকে ফিরে সড়ক ভবনসংলগ্ন কাঠপট্টি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি কুকুর এসে আমার ডান হাতে কামড় দেয়। এখন হাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছি।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ছোয়া ইসরাইল বলেন, কুকুরে কামড়ানো রোগীদের টিকাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পৌর এলাকার বেওয়ারিশ কুকুরদের ধরে টিকা দেওয়া হতো। করোনার সময় থেকে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে কী করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।