সকালে বোন সাবিনা বেগমকে গাড়িতে তুলে দেন ভাই দুলাল আহমদ। বোনের জামাই আনু মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির পথেও যাত্রা করেন। কিন্তু স্বামীর ঘরে আর ফেরা হয়নি সাবিনার। তারা লাশ পাওয়া গেল পুকুরে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী তাকে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে দেয়। ঘটনার পর বুধবার রাতে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

সাবিনা বেগম (৩০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের নোয়াই গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে। আটক স্বামী আনু মিয়া একই উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের বলাই মিয়ার ছেলে। দাম্পত্য কলহের যার ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বুধবার সকালে সাবিনা বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীকে নিয়ে রওনা দেন। সাবিনার ভাই দুলাল তাদেরকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন। কুনু মিয়া নিয়মিত রাস্তায় না গিয়ে বিকল্প পথে রাস্তায় যান। বিকেলে বাগলা এলাকার শওকত মাস্টারের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি পুকুরে লাশ পাওয়া যায় সাবিনার। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু সাবিনার স্বামী কিভাবে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে যায় সে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। 

রাতে আনু মিয়াকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কীভাবে, কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে আটক আনু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান-ইসরায়েলি সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়াবে কি না, সিদ্ধান্ত ‘শেষ মুহূর্তে’: ট্রাম্প

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমার সামনে সব ধরনের সম্ভাব্য সামরিক ও কূটনৈতিক ‘পদক্ষেপ’ তুলে ধরা হয়েছে। তবে, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ‘একেবারে শেষ মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত নেব।’

আল জাজিরার প্রতিবেদনেও একই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান। সেই সিদ্ধান্ত কী হবে বা কবে তা নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে কিছুই অনুমান করা যাচ্ছে না।

হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেলেও সেখান থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের আলোচনা চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ