পল্টনে মাদক কারবারিদের গুলিতে ডিবির ২ সদস্য আহত
Published: 19th, June 2025 GMT
রাজধানীর পল্টন এলাকায় মাদক কারবারিদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হওয়ার কথা জানা গেছে। তারা হলেন- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের এএসআই আতিক হাসান ও কনস্টেবল সুজন।
গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ডিবি লালবাগ বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এনায়েত কবির শোয়েব বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানোর সময় হঠাৎ মাদক কারবারিরা আমাদের ওপরে গুলি চালায়। এতে আমাদের দুই পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেলে তাদের চিকিৎসা চলছে।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, সহকারী কমিশনার এনায়েত কবির শোয়েবের নেতৃত্বে ডিবির দল কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বিপরীত পাশে মাদক কারবারিদের গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দু’জন পুলিশ গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে এএসআই আতিক হাসানের পেটের বাম পাশে এবং কনস্টেবল সুজনের বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় মাদক কারবারিদের একটি প্রাইভেট কারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মাসুদ আলম জানান, ডিবি পুলিশের গুলিবিদ্ধ দুই সদস্যকে রাতে হাসপাতালে আনা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলায় এএসআইসহ আহত ৩
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওমর ফারুক, কনস্টেবল নাজমুল আহসান ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া।
এদিকে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) ও জোহরা বেগম (৪৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি গ্রামের মাজম আলীর (৪০) বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। গতকাল বিকেল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় মাজম আলীসহ কয়েকজন পোড়াবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে বসে ইয়াবা কেনাবেচা করছিলেন। তখন দলটি অভিযানে গেলে আসামির স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে ওই এএসআই ও কনস্টেবল আহত হন। আসামির স্বজনদের ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওমর ফারুক ও শাহীন মিয়া।
পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনার পর গত রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে হাবিবুর ও জোহরাকে আটক করা হয়। পরে রাতে মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।