অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যা করেন মা–বাবা: পুলিশ
Published: 19th, June 2025 GMT
ছেলে জনি সরকার (২৫) মাদকাসক্ত। প্রায়ই টাকার জন্য বাড়িতে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। টাকা না দিলে মা–বাবাকে মারধর করতেন। দীর্ঘদিন ধরে ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাবা করুণা সরকার তাঁর একমাত্র ছেলেকে ঘুমের মধ্যে মাথায় রুটি বানানোর বেলন দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর ছেলের মরদেহ বস্তাবন্দী করে নালায় ফেলে দেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো.
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার শিহাচর এলাকায় পয়োনিষ্কাশনের নালা থেকে জনি সরকারের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত জনির বাবা করুণা সরকার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তিন সন্তানের মধ্যে জনি ছিলেন সবার বড়।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. হাসিনুজ্জামান বলেন, পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে ছেলে হত্যায় বাবা করুণা সরকারের সম্পৃক্ততা পায়। পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বাবার সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই টাকার জন্য বাড়িঘরে ভাঙচুর করতেন। বাবা-মাকেও মারধর করতেন। দীর্ঘদিন ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাবা ঘুমের মধ্যে মাথায় রুটি তৈরি করার বেলন দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। মা অসিতা রানী সরকার তাঁর স্বামীকে সহায়তা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বাবা করুণা সরকারের বাদী হয়ে করা মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে। ছেলেকে হত্যার দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে নতুন করে হত্যা মামলা করেছে। পাশাপাশি বাবা করুণা সরকার ও মা অসিতা রানী সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। করুণা সরকার ফতুল্লার শিহাচর এলাকার দুলাল মিয়ার বাড়িতে থাকেন। তিনি ফতুল্লার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তাপ্রহরীর চাকরি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাম্প্রদায়িক কোন উস্কানিতে পা দিবেন না : টিপু
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বাংলাদেশে সম্প্রদায়িক কোন উস্কানি দেওয়া যাবে না। আর সাম্প্রদায়িক কোন উস্কানিতে আপনারা পা দিবেন না।
কারণ তাদের উস্কানিতে পা দিলে তারা হিন্দু মুসলিম উভয়কে দাঙ্গামা হাঙ্গামা লাগিয়ে তারা তার সুযোগ গ্রহণ করার চেষ্টা করবে ।আমাদের জিয়াউর রহমান সর্বদলীয় অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কাঠামো গঠন করার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। শুক্রবার (১ আগস্ট)। সকাল এগারোটায় শহরের চাষাড়া বালুরমাঠস্থ রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, গত ৫ই আগস্ট এর পরে পূজা উদযাপন পরিষদ আমাদের সাথে যোগাযোগ করে বলে যে আমাদের সহযোগিতা লাগবে আপনারা আমাদেরকে বাঁচান। এই কথা শোনার সাথে সাথে মহানগর বিএনপির সমস্ত নেতাকর্মী মাঠে নেমে প্রত্যেকটা মন্দির ও গির্জা আমরা পাহারায় চলে যাই এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা চালাই ।
তারপর থেকে আমরা হিন্দু ধর্মালম্বীদের সাথে মিলে একসাথে এক হয়ে আমরা কাজ করছি । সামনের দিনগুলো তো আমরা করে যাব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সাখাওয়াত এবং টিপুকে বিএনপি নেতা হিসেবে আপনারা দেখবেন না। আপনারা আপনাদের সেবক হিসেবে ডাক দিবেন। আমরা যেকোনো সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। আপনারা সামনে নির্বাচন আসছে আপনারা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আপনারা যাকে ভাল মনে করবেন তাদের জন্যই আপনারা নেতা মনোনীত করবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী প্রবীর কুমার সাহা, সাবেক ট্রাস্টি হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট শ্রী পরিতোষ কান্তি সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা বাসু দেব চক্রবর্তী, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী পূর্ণ স্নান উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী তাপস কর্মকার।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণপদক সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ- সভাপতি তিলোত্তমা দাস, প্রদীপ সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, মনিকা শীল, পংকজ কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব পাল, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন রুদ্র, কোষাধ্যক্ষ শান্তি দাস, প্রচার সম্পাদক তপন গোপ সাধু, দপ্তর সম্পাদক অভিরাজ সেন সজল, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ- সভাপতি সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহা, হিমাদ্রি সাহা হিমু, দুলাল দাস, রতন পোদ্দার, রতন রাউদ, গোপাল দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শংকর রায়, সঞ্জয় দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্চয় সাহা, প্রচার সম্পাদক রিপন ঘোষ, সিদ্ধিরগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, বন্দর থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, ফতুল্লা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস, সোনারগাঁ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রদীপ ভৌমিক, রূপগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি গনেশ পাল, সাধারণ সম্পাদক রানা দাস সংগ্ৰাম, আড়াইহাজার উপজেলা কমিটির সভাপতি হারাধন দে, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ভৌমিকসহ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।