প্রতি বছরের মতো ১ জুলাই ‘ব্যাংক হলিডে’ হওয়ায় তফসিলি ব্যাংকে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকবে। ব্যাংক বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বন্ধ থাকবে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার লেনদেন বন্ধ থাকলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। বুধবার (২ জুলাই) যথারীতি সাধারণ নিয়মে খোলা থাকবে পুঁজিবাজার।
ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.
ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ৩০ জুন ব্যাংকগুলো ছয় মাসের আর্থিক হিসাব শেষ করে। সারা দেশের বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্রিত করে অর্ধবার্ষিক ব্যালেন্স শিট প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। অর্ধবার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত করতে পঞ্জিকা বছরে জুনের শেষ দিনটিতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মীরা। এজন্য প্রতি বছরের মতো ১ জুলাই ‘ব্যাংক হলিডে’ থাকায় তফসিলি ব্যাংকে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকে।
প্রথা অনুযায়ী, বছরে দুই দিন অর্থাৎ ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে থাকে। পুরো বছরের আর্থিক হিসাব চূড়ান্ত করা হয় এ দুই দিনে। প্রতি বছর বাংলাদেশ ব্যাংক যে ছুটির তালিকা নির্ধারণ করে, সেখানে এই দুই দিনকে ‘ব্যাংক হলিডে’ ঘোষণা করে।
তবে, এসব দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকে।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল ড ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের পদ বৃদ্ধির দাবিতে যমুনামুখী বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা
৪৪তম বিসিএসের পদসংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে রমনা পার্কের ভেতর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বিসিএস প্রার্থীরা। তারা যমুনার সামনের রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে রমনা পার্কের ‘অরুণোদয়’ গেট দিয়ে হঠাৎ বেরিয়ে আসে বিক্ষোভকারীদের একটি দল। তারা সোজা যমুনার সামনের সড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বাধা দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
প্রার্থীরা বলেন, সোমবার ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল দেওয়ার কথা। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সাড়ে তিন লক্ষাধিক শূন্যপদ রয়েছে। এ পদগুলোতে জনবল নিয়োগের অভাবে জনগণ ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না। সেবা পেতে তাদের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনে জনবলের অভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার হিমশিম খাচ্ছে। অতীতের প্রায় সব বিসিএসের ফলাফলের আগে কিছু পদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এবার সবকিছু রেডি হওয়ার পরেও, অজানা কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
তারা বলেন, আমরা বারবার চেষ্টা করেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা যমুনার সামনে আসার চেষ্টা করেছি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৩০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ ১০ সহস্রাধিক দক্ষ জনবল প্রস্তুত রয়েছে। এদের সবাইকে যথাস্থানে নিয়োগ দিলে জনগণেরও উপকার হয়, তাদের কর্মসংস্থানও হয়।
ঘটনাস্থলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, তারা রমনা পার্কের ‘অরুণোদয়’ গেট দিয়ে একজন একজন করে জড়ো হয়ে যমুনার সামনের সড়কে চলে আসে। এভাবে আন্দোলন করা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে এভাবে আন্দোলন করা অযৌক্তিক। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।