lশৈশবের প্রিয় মুহূর্ত
আমার বাবা সরকারি চাকরির সুবাদে চন্দ্রঘোনায় থাকতেন। শৈশবের কিছু মুহূর্ত আছে; যা ভুলতে পারি না। এখন বয়স বেড়ে গেছে কিন্তু সেসব মুহূর্ত চোখের সামনে ভাসে। আমাদের বাসাটি ছিল একদম পাহাড়ের চূড়ায়। খুব সুন্দর। তখন আমি চন্দ্রঘোনায় কেপিএম হাইস্কুলে প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করি। সেই সময়কার স্মৃতি খুব বেশি মনে পড়ে। পাহাড়ি এলাকায় আমরা স্কুলে যেতাম। খুব আনন্দ করেই যেতাম। সাম্পানওয়ালা দেখতাম। স্কুল থেকে নদীর ওপারে ঘুরতে যেতাম। আমাদের স্কুলটি ছিল বেশ আধুনিক। শিল্পচর্চা হতো। সেখান থেকেই আমার মনের ভেতরে প্রেরণা সৃষ্টি হয়েছে। পরে ছবি আঁকা বা অনেক কাজ করতে উৎসাহ পেয়েছি। পাঁচ দশক ধরে চারুকলার অঙ্গনে কাজ করে আসছি। আমি পাস করার সাথে সাথেই লেকচারার হিসেবে যোগদান করেছি। সেই থেকে এখনও একটি কথাই বলি, আমি কিন্তু ক্যারিয়ার সচেতন ছিলাম না। অনেকেই ক্যারিয়ার ছাড়া কিছু বোঝে না। আমি সাংসারিক একজন মানুষ। আমার স্বামী চিত্রশিল্পী শওকাতুজজামান মাটির মানুষ ছিলেন। তিনি মারা গেছেন দুই দশক হয়। আমার বাচ্চাদের কোলেপিঠে নিয়ে কাজ করেছি। সারারাত কাজ করতাম, সারাদিন সংসার ও শিক্ষকতায় ব্যস্ত থাকতাম। আমার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের সঁচিয়াখালী। মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়ি যেতাম। নৌকায় করে একদম বাড়ির ভেতর পর্যন্ত যেত। তখন যা দেখেছি নিজের ভেতর তা আত্মস্থ করেছি। ‘জাল’ সিরিজের ছবি তারই প্রতিফল। বাংলাদেশকে আমি ধারণ করার চেষ্টা করি। এই ধারণ করাটা আমার ভেতর থেকে আসে। ইচ্ছে করলেও সরে যেতে পারি না। বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পেতাম দেশের বাইরে থেকে। সেখান থেকে আমন্ত্রণ পেতাম। সরকারি ও বেসরকারি নিমন্ত্রণে দেশের বাইরে অনেকবার গিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন দেশের কাজ দেখেছি। কিন্তু আমার নিজের দেশের সংস্কৃতি, সোঁদা মাটির গন্ধ ভুলে যেতে পারিনি।
lআড্ডা-তর্কে সঙ্গী যারা
আমি কাজপ্রিয় মানুষ। অনেকেই মনে করে আমি কম কথা বলি। সংসার জীবন বা সামাজিক জীবন বলেন আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ; নিজের মতো করে চলি। সততা নিয়ে চলি। ছবি বিক্রির জন্য কখনও ক্রেজি হয়ে যাই না।
lপ্রথম চিত্র প্রদর্শনী
১৯৭৮ সালে চারুকলায় প্রদর্শিত হয়। সেটা ছিল অন্যরকম অনুভূতি।
lপ্রিয় চিত্রশিল্পী, যে কারণে প্রিয়
দেশে বা দেশের বাইরে অনেকেই প্রিয় চিত্রশিল্পী। ফিদা, মার্ক সেগোল। মনোজের কথা মনে পড়ে। তাঁর কালার আমার খুব পছন্দ। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে কে জি সুব্রামানিয়ান খুব প্রিয়। আধুনিক চিত্রকলার চোখ খুলে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের মধ্যে জয়নুল আবেদিন, রফিকুন নবী, আনোয়ারুল হক, কাইয়ুম চৌধুরী, হাশেম খান, মনিরুল ইসলামের কাজ ভালো লাগে।
lযা আঁকছি
আমি চিত্রে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বাংলাদেশ আমার বিষয়। সে হিসেবে এখন বিভিন্ন সিরিজ নিয়ে কাজ করছি।
lপ্রিয় উদ্ধৃতি
আমি সততা নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। সততা ও পরিশ্রম যার ঊর্ধ্বে কিছু নেই। v
lগ্রন্থনা: ফরিদুল ইসলাম নির্জন
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গল প আম র ব র ভ তর ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড এনেছে মেঘনা ব্যাংক
দেশে প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য (রিসাইকেলড) প্লাস্টিকের তৈরি ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড সেবা চালু করেছে মেঘনা ব্যাংক। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে মেঘনা ব্যাংক মোট দুই ধরনের ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড বাজারে এনেছে। একটি হলো গ্রিন প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড ও অন্যটি উইমেন প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড।
নতুন এই উদ্যোগে একজন গ্রিন প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ডধারী বছরে দুই লাখ টাকার বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। অন্যদিকে উইমেন প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী একজন নারী গ্রাহক বছরে এক লাখ টাকার বেশি সুবিধা পাবেন।
মেঘনা ব্যাংক জানায়, প্রচলিত কার্ডের তুলনায় ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদানে তৈরি এসব কার্ড উৎপাদনের ফলে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব কমেছে। কার্ড এনভায়রনমেন্টাল ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, এ ধরনের কার্ড উৎপাদনে শক্তির ব্যবহার ৪১ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া কার্ড উৎপাদনে যেসব বর্জ্য হয়, তা–ও পুনরায় কার্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কার্ড তৈরিতে হ্যালোজেন উপাদানের ব্যবহারও ৫২ শতাংশ কমেছে।
যেসব সুবিধা পাওয়া যাবেমেঘনা ব্যাংকের এই দুই ধরনের ক্রেডিট কার্ডধারীরা সাধারণ ব্যাংকিং সেবার বাইরে বিভিন্ন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডে সুবিধা ও ক্যাশব্যাক অফার পাবেন। এর পাশাপাশি ভ্রমণে বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে নানা সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
গ্রিন প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট, মারমেইড ইকো রিসোর্ট, রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম, ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ফোর্টিস ডাউনটাউন রিসোর্ট, গ্র্যান্ড রিভার ভিউ হোটেল ও রিসোর্টে এক রাত থাকলে আরেক রাত ফ্রিতে থাকা যাবে।
এ ছাড়া আড়ং, যাত্রা বাংলাদেশ, নর্থ অ্যান্ড কফি রোস্টার্স, যাত্রাবিরতি, রুয়েন বুসাবা, বান বুসাবা, ভল্ট ঢাকা, হারলান, টাইম জোন, ব্র্যাক নার্সারি ও গ্রিন লাইন পরিবহনে গ্রিন প্লাটিনাম কার্ডধারীরা ৪৩ হাজার ও উইমেন প্লাটিনামে ৩৭ হাজার পর্যন্ত ক্যাশব্যাক সুবিধা পাবেন।
এই দুই ধরনের ক্রেডিট কার্ডধারীরা পাঁচ তারকা হোটেলে একটি খাবার কিনলে আরেকটি খাবার ফ্রি পাবেন। সেই সঙ্গে ভ্রমণে শেয়ারট্রিপ ও ওয়ান্ডার ওম্যানে ছয় মাস পর্যন্ত শূন্য শতাংশ ইএমআই সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিশ্বের দেড় হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লাউঞ্জে নানা সেবা পাবে মেঘনা ব্যাংকের কার্ডধারীরা। এসব কার্ড ব্যবহারে জুয়েলারি, ফিটনেস, প্রসাধনী ও স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে।
মেঘনা ব্যাংকের ব্যস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রাহক ও পরিবেশের জন্য দায়িত্বশীল উদ্ভাবন আমাদের মূল লক্ষ্য। দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য মেঘনা ব্যাংক পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং কার্যক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে। দেশে প্রথম শতভাগ রিসাইকেলড প্লাস্টিক কার্ড চালু করা টেকসই ব্যাংকিংয়ের পথে আমাদের সাহসী পদক্ষেপ। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দায়িত্বশীল ও গ্রিন ইকোনমি গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।’
যেভাবে আবেদন করা যাবেগ্রাহকেরা এই নতুন কার্ডের জন্য মেঘনা ব্যাংকের কল সেন্টারে কলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে অথবা যেকোনো মেঘনা ব্যাংক শাখায় গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজ দিয়ে এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে।
মেঘনা ব্যাংকের হেড অব কার্ডস মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘গ্রিন প্ল্যাটিনাম ও উইমেন প্ল্যাটিনাম কার্ড কেবল প্রিমিয়াম সুবিধা নয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের গ্রিন ভবিষ্যতে অবদান রাখার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বমানের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি দেশে গ্রিন ব্যাংকিং সংস্কৃতি গড়ে তোলা।’