প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেও থাইল্যান্ডের নতুন মন্ত্রিসভায় নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। সাময়িক বরখাস্তের পর এবার তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রীর। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে অনুষ্ঠিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পেতংতার্নসহ নতুন মন্ত্রিসভার ১৪ সদস্য অংশ নেন। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন।

এদিকে থাইল্যান্ডে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ফুমথাম ওয়েচাইয়াচাই। ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাই রাজার কাছে শপথ নেওযার পর ফুমথাম ওয়েচাইয়াচাই গতকাল ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউসে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করেন এবং বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন।

ফুমথাম ওয়েচাইয়াচাই দায়িত্ব নিলেন এমন এক সময়, যখন দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সীমান্ত বিরোধকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন এবং তাঁর এ ফোনালাপ ফাঁস হলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে। ফোনের কথাবার্তা ফাঁসের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁর পদত্যাগের জোর দাবি ওঠে। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় রাজধানী ব্যাংককে। এসব ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুলাই থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে তাঁকে ১৫ দিনের সময় দিয়েছেন সাংবিধানিক আদালত। আদালত গত মঙ্গলবার পেতংতার্নকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। নৈতিকতা লঙ্ঘনের তদন্ত চলমান থাকায় তাঁকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়।

এর পরদিন বুধবার, পরিবহনমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুনগ্রুংরুয়াংকিতকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন, তবে মাত্র এক দিন গত বুধবারই পূর্ণ সময় দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর গতকাল ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় ফুমথাম ওয়েচাইয়াচাইকে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন ত র র

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসুর ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে: পর্যবেক্ষণ দল 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

রাকসু: ‘এক ঘষাতেই’ মুছে গেছে অমোচনীয় কালির দাগ

রাকসু নির্বাচনে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ বাম সমর্থিত প্যানেলের

অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা নির্বাচনে ভোট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কোনো অসঙ্গতি পাইনি। ভোটগ্রহণ অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ভোটার বেশি হওয়ার কারণে অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে।”

প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে কোনো প্রার্থী অভিযোগ করেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা কিছু অভিযোগ দেখেছি। কেউ সরাসরি আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি।”

এর আগে, আজ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এই ভোট। ভোটগ্রহণের ৪ ঘণ্টার পর রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শুরু হয় গণনা।

ঢাকা/কেয়া/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ