রাজধানীর পুরান ঢাকায় আদালত এলাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাঈদ মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার সূত্রাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন তাঁর স্ত্রী বিলকিস আক্তার। তবে মামলায় আসামি হিসেবে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে নাম আসা রনি ওরফে ভাগনে রনি এখনো গ্রেপ্তার হননি। পুলিশের ভাষ্য, রনির নির্দেশে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মামুনকে গুলি করে হত্যা করেন ফারুক ও রবিন।

আরও পড়ুনঅপরাধজগতের দ্বন্দ্বে মামুন খুন, দুই লাখ টাকার বিনিময়ে গুলি করেন দুজন: পুলিশ১২ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামুন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের পরদিনই ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন মো.

ফারুক হোসেন ফয়সাল (৩৮), রবিন আহম্মেদ ওরফে পিয়াস (২৫), মো. রুবেল (৩৪), শামীম আহম্মেদ (২২) ও মো. ইউসুফ জীবন (৪২)। তাঁদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র আইনে মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় তাঁরা এখন ডিবি পুলিশের চার দিনের রিমান্ডে আছেন। তাঁদের মধ্যে ফারুক ও রবিন ১০টি গুলি চালিয়ে মামুনকে হত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরও পড়ুনমামুন হত্যার পেছনে কি অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নাম আসছে যে কারণে১০ নভেম্বর ২০২৫

গত সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ফটকের বিপরীতে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় মামুনকে। আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় খুব কাছ থেকে দুই ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও শুটাররা পেছন থেকে গুলি ছোড়েন।

পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মামুনকে হত্যার জন্য চুক্তি হয়েছিল মাত্র দুই লাখ টাকার।

আরও পড়ুনশীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় ‘দুই শুটার’সহ ৫ জন আটক১১ নভেম্বর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ম ন হত য হত য র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

বরগুনায় বাসে আগুন: ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

বরগুনার আমতলীতে স্বর্ণা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে আমতলী থানা পুলিশ। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে আমতলী ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তায় পার্কিং করে রাখা স্বর্ণা পরিবহনের পটুয়াখালী–ব ১১-০০৪৬ নম্বরের বাসটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাসটি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিষিদ্ধ সংগঠন আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান রাসেল, যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ খান এবং আমতলী পৌর যুবলীগের সদস্য ও ১১টি মামলার আসামি তম্ময় গাজী। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন আমতলী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কাওছার আহমেদ রনি এবং সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ছগির মল্লিক।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলা রুজু হয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরগুনায় বাসে আগুন: ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫