টানা তিন ড্রয়ে লা লিগার শীর্ষ স্থানটা হারিয়েই ফেলল রিয়াল মাদ্রিদ। রোববার রাতে জিরোনার মাঠে রিয়াল ড্র করেছে ১–১ গোলে। এর আগে এলচের বিপক্ষে ২–২ গোলে এবং রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি।

পরশু রাতে বার্সেলোনা আলাভেজকে হারিয়ে ১৪ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে রিয়ালকে টপকে শীর্ষে উঠেছিল। জিরোনার বিপক্ষে জিতলে সেই স্থান আবার পুনরুদ্ধার করতে পারত রিয়াল। কিন্তু একের পর এক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত জয় আদায় করতে পারেনি জাবি আলোনসোর দল। ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।

জিরোনার মাঠে আধিপত্য বিস্তার করা রিয়াল ৬০ শতাংশ বলের দখল রেখে ২৫টি শট নেয়। কিন্তু এমন দাপট দেখিয়েও রিয়াল গোল পেয়েছে মাত্র একটি, তাও আবার পেনাল্টি থেকে। কিন্তু ৬৭ মিনিটে এমবাপ্পের সেই পেনাল্টি গোল রিয়ালকে সমতায় ফেরালেও শেষ পর্যন্ত ৩ পয়েন্ট এনে দিতে পারেনি। এর আগের ম্যাচের ৪৫ মিনিটে জিরোনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ওনাহি।

আরও পড়ুনইয়ামাল–ওলমোর গোলে জন্মদিনে জয় বার্সার২৯ নভেম্বর ২০২৫

পেনাল্টিতে বল জালে জড়িয়ে রিয়ালের হয়ে চলতি মৌসুমে ২৩তম গোলটি করেছেন এমবাপ্পে, যা ক্লাবের মোট গোলের (৪১ গোল) ৫৬ শতাংশ। অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা এমবাপ্পে এই ম্যাচে মোট ৫টি শট নেন, কিন্তু গোল হয়েছে ওই একটাই।

হতাশায় এভাবেই মাঠে বসে পড়েছেন বেলিংহাম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দীদের পোশাকে কলার স্তূপে ‘নেতানিয়াহুকে বসিয়ে’ বিক্ষোভ

দুর্নীতিসহ তিন মামলার বিচার থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি চেয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষমার আবেদনের পর তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

দীর্ঘদিন ধরে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ঘুষ এবং আস্থাভঙ্গের অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে। তবে তিনি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।

এর মধ্যে গতকাল রোববার ৭৬ বছর বয়সী নেতানিয়াহু বিচার কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি চেয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমার আবেদন করার কথা জানান। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ছয় বছর ধরে বিচার চলছে। তা আরও অনেক বছর ধরে চলার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আরও পড়ুনদুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন১২ ঘণ্টা আগে

এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই বিচার অব্যাহত থাকায় আমরা (ইসরায়েল) ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছি, তীব্র বিভাজন তৈরি হচ্ছে, বিভেদের মাত্রা বাড়ছে।’

ক্ষমার আবেদন করলেও দোষ স্বীকার কিংবা অনুশোচনা—কোনোটাই করেননি নেতানিয়াহু। এতে ক্ষুব্ধ হন তাঁর দেশের অনেকে। খবরটি প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তেল আবিবে গতকাল রাতে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।

একটি স্মরণসভায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (বাঁ থেকে দ্বিতীয়), তাঁর স্ত্রী সারা (সর্ববাঁয়ে), প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এবং ফার্স্ট লেডি মিশেল হারজগ

সম্পর্কিত নিবন্ধ