বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) দুই সদস্যের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বম সোশ্যাল কাউন্সিল (বিএসসি) ও ইয়াং বম অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়াইবিএ) নেতারা নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন লালহিম সাং বম (৩০) ও লালতোলয়াং থাং বম (২৮), তিনি অজয় বাবু নামেও পরিচিত।

লালহিম সাং বম রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুন্নুয়াপাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মৃত জিরখুম বমের ছেলে। অপরজন লালতোলয়াং থাং বম একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রৌনিনপাড়ার লালতিন সম বমের ছেলে। পুলিশের ভাষ্য, তাঁর আরেক ভাইও কেএনএফের সদস্য।

বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে রুমা উপজেলার মুয়ালপিপাড়া ও পলিপ্রাংসাপাড়ার মাঝামাঝি নাইতং পাহাড়সংলগ্ন তাইদাংম্রংঝিরি এলাকায় কেএনএর একটি আস্তানায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দুটি মরদেহ, তিনটি এসএমজি, একটি চাইনিজ রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গুলি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানে সাম্প্রতিক সময়ে গঠিত সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) দাবি করে, কেএনএ তাদের সশস্ত্র শাখা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় সংগঠনটির সশস্ত্র তৎপরতা বাড়ে।

বিএসসি সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লালজার লম বম বলেন, ‘নিহত দুজন কেএনএর সদস্য। পরিচয় শনাক্ত করার পর আমরা মরদেহগুলো তাঁদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় নেতা সাংমিন বম ওরফে পুতিন বমও ওই অভিযানে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হলেও তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়নি।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সোহরাওয়ার্দ্দী বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর তাঁদের মরদেহ দুর্গম এলাকায় বসবাসরত স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বম সোশ্যাল কাউন্সিল ও ইয়াং বম অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন উপজ ল র এল ক য় সদস য মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্তের দাবি

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যের একজন নার্গিস আক্তার বলে দাবি করেছেন বোন পরিচয় দেওয়া মৌসুমি। তাঁর দাবি, পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্ত করেছেন তিনি।

আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন মৌসুমি।

গতকাল মঙ্গলবার শিয়ালবাড়ির একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো গতকাল সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনমিরপুরে আগুন: ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি স্বজনদের১ ঘণ্টা আগে

মৌসুমি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন নার্গিস (১৯) মাত্র ১৫ দিন আগে চারতলা ভবনটির তিনতলার কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। নার্গিস কোনো মুঠোফোন ব্যবহার করতেন না। কারখানাটির লাইনম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।

মৌসুমি বলেন, পায়ে থাকা নূপুর দেখে তিনি তাঁর বোনের লাশ চিনতে পেরেছেন।

মৌসুমি জানান, তাঁদের বাবার নাম ওয়াজিউল্লাহ। তিনি ফলের আড়তে কাজ করেন।

মর্গের সামনে জড়ো হওয়া ভুক্তভোগী স্বজনদের একজন ফাতেমা বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪) চারতলা ভবনটির তিনতলার কারখানায় কাজ করতেন। মেয়ের লাশ দেখে তিনি চিনতে পেরেছেন।

ফাতেমা বেগম (বাঁয়ে) বলছেন, তাঁর মেয়ের নাম মাহিরা আক্তার। তাঁর লাশ শনাক্ত করতে পেরেছেন তিনি। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গের সামনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৬ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেবে সিআইডি
  • পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্তের দাবি
  • মিরপুরে আগুন: ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি স্বজনদের
  • ঢামেক মর্গে ১৬ মরদেহ, ছবি হাতে স্বজনদের আহাজারি
  • স্বজনদের ফেরত দিন, না পারলে জড়িতদের বিচার করুন
  • বরিশালে আ.লীগ নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি হত্যা