প্রথম ওয়ানডেতে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ওপেনিংয়ে নেমে ৬২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছিলেন আশার আলো। কিন্তু তার ওই ইনিংসেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক সময় মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে ম্যাচ হারে টাইগাররা।

ইনিংস সাজাতে কলম্বোতে দীর্ঘ সময় কাটানোয় বাকিদের থেকে কিছুটা হলেও উইকেটের চরিত্র বুঝতে পেরেছেন তানজিদ তামিম। তাই দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে সতীর্থদের দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। তামিম বলেন, ‘এই উইকেটে যারা সেট হবে, তাদেরই লম্বা ইনিংস খেলতে হবে। নতুন ব্যাটারদের একটু সময় নিয়ে খেলতে হবে। যারা উইকেটে সেট হয়ে যাবে, তাদের শেষ পর্যন্ত খেলার চেষ্টা করতে হবে।’

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করলেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ওপেনার। তামিম বলেন, ‘আমি বলব না ভালো খেলেছি। কারণ দলের দরকারটা পূরণ করতে পারিনি। যদি সেটা করতে পারতাম, তাহলে বলতাম ভালো খেলেছি, দলের জন্য কিছু করতে পেরেছি।’

তামিমের আক্ষেপ শান্তর সঙ্গে জুটিটা আরও বড় করতে না পারা নিয়ে। তার ভাষ্য, ‘আমি আর শান্ত ভাই দুজনই সেট ছিলাম। আমরা যদি আর ৫-১০ ওভার খেলতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত। আমাদের আউটটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল। একটা রান আউট আর একটা অসাধারণ ক্যাচে আমাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। সেখান থেকে যদি দুইটা ৩০-৪০ রানের জুটি হতো, তাহলে ম্যাচ সহজ হয়ে যেত।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পেরুর প্রেসিডেন্ট নিজের বেতন দ্বিগুণ করায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ

পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে নিজের মাসিক বেতন দ্বিগুণ বাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার ডলার (প্রায় ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা) করায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, এই অর্থ দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যয় করাই ছিল অধিক যুক্তিযুক্ত।

স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে পেরুর অর্থমন্ত্রী জানান, প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তের নতুন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৫৬৮ সোলেস (প্রায় ১০ হাজার ৬৭ ডলার), যা দেশটির ন্যূনতম মজুরির প্রায় ৩০ গুণ।

প্রেসিডেন্টের আগের বেতন ছিল ১৫ হাজার ৬০০ সোলেস (প্রায় ৪ হাজার ৪০০ ডলার), যা ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট অ্যালেন গার্সিয়া নির্ধারণ করেছিলেন। এর আগে প্রেসিডেন্টের বেতন ছিল ৪২ হাজার সোলেস।

সরকার বলেছে, লাতিন আমেরিকার ১২টি দেশের মধ্যে প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তের আগের বেতন ছিল ১১তম স্থানে, যা শুধু বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি। রয়টার্স সরকারের এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে গত বছর রিও টাইমসের এক প্রতিবেদনে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর প্রেসিডেন্টদের বেতন ৩ হাজার ডলার থেকে শুরু করে ২২ হাজার ডলার বলে উল্লেখ করা হয়।

এই সিদ্ধান্তকে ‘একেবারে রসিকতা’ বলে মন্তব্য করেন রাজধানী লিমায় একটি পত্রিকার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পেনশনভোগী বাসিন্দা রোলান্দো ফনসেকা। তিনি বলেন, ‘পেরুজুড়ে চরম দারিদ্র্য বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের উচিত সবার সামনে ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।’

বলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা বর্তমানে তলানিতে নেমে এসেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, তাঁর সমর্থন মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তাঁর পূর্বসূরি পেদ্রো কাস্তিয়ো কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয়।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বলুয়ার্তে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে শুরু করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হয়েছে। তবে ৬৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পেরুর দারিদ্র্যের হার এখনো প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি, যা করোনা মহামারির সময় বেড়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও জীবনমানে পরিবর্তন আসেনি বলেই মনে করছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সাধারণ মানুষ।

প্রসঙ্গত, পেরু ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছয়জন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে, যাঁদের মধ্যে তিনজনই এখন কারাগারে। প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুলাইয়ে। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ