মসজিদের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫০
Published: 4th, July 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ ও আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– নজরুল ইসলাম, রায়হান কবীর, রহিম উদ্দিন, হাম্মদ মিয়া, ইসরাফিল, নুনু মিয়া, ফজলু মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া, নিজাম উদ্দিন, শামীম আহমদ মনা, শামসু মিয়া, সুলেয়মান মিয়া, জুয়েল আহমদ, আলতা মিয়া, রোমান মিয়া, জনি, রব্বান মিয়া প্রমুখ। আহতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম (৫৫), রায়হান কবীর, রহিম উদ্দিন (৩৮), হাম্মদ মিয়া (২৮) ও নিজাম উদ্দিনকে (৩৬) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মথুরাপুর জামে মসজিদের নতুন মোতাওয়াল্লি নিয়োগ, পুরাতন মোতাওয়াল্লিকে অব্যাহতি ও মসজিদের অর্থের হিসাব-নিকাশ নিয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মসজিদের হিসাব-নিকাশ নিয়ে এর আগে কয়েক দফা গ্রাম্য পঞ্চায়েত বসে কোনো সুরাহা হয়নি। শুক্রবার আগের মোতাওয়াল্লি আলাল মিয়া অব্যাহতি চেয়ে হিসাব-নিকাশ দিতে চান। তখন গ্রামের নজরুল ইসলাম পক্ষ ও শামীম আহমদ মনা পক্ষের লোকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে শামীম আহমদের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অনেকে আহত হন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের সময় মসজিদের মোতাওয়াল্লির পদত্যাগের বিষয়ে কথাকাটাকাটির সময় প্রতিপক্ষ শামীম আহমদ মনার লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে তাদের পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন।
হামলার অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে শামীম আহমদ মনা বলেন, মসজিদের মোতাওয়াল্লি ৩৬ হাজার টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেননি। তারা হিসাব চাইলে নজরুল ইসলাম পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি মসজিদ কমিটির সদস্য নন।
এ ব্যাপারে মোতাওয়াল্লি আলাল মিয়া বলেন, তিনি হিসাব-নিকাশ দিতে চাইলে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষ এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত নজর ল ইসল ম র ল কজন স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে ক্রিকইনফো ব্লকের আলোচনা তুললেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ, অথচ ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো ডটকমে দেখানো হচ্ছে জুয়ার বিজ্ঞাপন। তাই দেশে এই ওয়েবসাইট চলতে দেওয়া যায় কি না, সেই আলোচনা তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব সোমবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ নিয়ে আলোচনা তোলেন।
তৈয়ব লিখেছেন, ‘এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন দেয় ইএসপিএন ক্রিকইনফো ডটকম। অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন ২০২৫–এ নিষিদ্ধ। জুয়ার কালো থাবায় বাংলাদেশের যুবকরা সর্বস্বান্ত, পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের সম্পদ। আমরা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশকিছু ক্রিকেট প্লেইং দেশের ক্রিকইনফো অ্যাডভার্টাইজমেন্ট স্টাডি করে দেখেছি। সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত।’
জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে এ বিষয়ে ই–মেইল পাঠিয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদের ডাকযোগে চিঠিও পাঠানো হবে বলে জানান ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব।
আরও পড়ুনসমালোচনাকারীরা কার পক্ষে বলছেন: ফয়েজ আহমদ১২ অক্টোবর ২০২৫তৈয়ব বলেন, একদিকে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো, অন্যদিকে জুয়ার বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের উপর আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে বাংলাদেশকে কোনো অর্থ দেয়নি আইন পাসের আগে-পরে। জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করলে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এ বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। জুয়া দমনে ব্রিটিশ আমলে ১৮৬৭ সালে প্রণীত একটি আইনও রয়েছে।
আরও পড়ুনব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আইন হচ্ছে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ গঠনের চিন্তা: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব২৮ জুন ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকার যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করেছে, সেখানে সাইবার জগতে জুয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সাইবার স্পেসে জুয়াখেলার জন্য কোনো পোর্টাল বা অ্যাপস বা ডিভাইস তৈরি করেন বা পরিচালনা করেন বা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি দুই বছর কারাদণ্ড অথবা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড।
আরও পড়ুনফোর–জির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস নির্ধারণ: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব৩১ আগস্ট ২০২৫