সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের বরিশালের ব্যুরো প্রধান আকতার ফারুকের (শাহিন) বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন বিএনপির নেতা বিলকিস আক্তার জাহান (শিরিন)।

বিলকিস আক্তার বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তাঁর পদ স্থগিত আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশাল মেট্রোপলিটন অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি মামলাটি করেন।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালতের বিচারক হাবিবুর রহমান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট বিলকিস আক্তার জাহানের বিরুদ্ধে নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় একটি পুকুর ভরাট করে জমি দখলের অভিযোগ তুলে যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সংবাদের পরপরই তাঁর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদটি সাময়িকভাবে স্থগিত করে দল।
বিলকিস আক্তার জাহানের দাবি, তিনি কোনো জমি দখল করেননি। সংবাদ প্রকাশের পর আইনি নোটিশ পাঠালেও কোনো জবাব পাননি তিনি। তাই মানহানির মামলা করেছেন।

মামলার পর বিলকিস আক্তার জাহান বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো কেউ আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তোলেনি। দলের কেউ কখনো আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না। আমার অনুরোধ, আপনারা সত্য ঘটনাটি তুলে ধরুন। আমি সততার সঙ্গে রাজনীতি করতে চাই।’

মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ

আকতার ফারুকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বরিশালের সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।

বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম খসরু, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, বরিশাল টেলিভিশন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি হুমায়ুন কবির ও ন্যাশনাল ডেইলিজ ব্যুরো চিফ অ্যাসোসিয়েশনের (এনডিবিএ) সভাপতি পুলক চ্যাটার্জি পৃথক বিবৃতিতে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ