২০২৪ সালের জুন মাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে শিগগিরই পথশিশু থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত, রিকশাচালক থেকে করপোরেট পেশাজীবী– সকল শ্রেণিপেশা, ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষ সংযুক্ত হয়। আন্দোলন রূপ নেয় বহু বছরের শোষণ, নিপীড়ন আর অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে। দেশের মেধাবীদের মেধার প্রকাশ ঘটেছে আন্দোলনে ব্যবহার করা বিভিন্ন শব্দ, স্লোগান, টার্মের মাধ্যমে। সেটি যেমন ছিল নতুনত্বে ভরা, তেমনি আকর্ষণীয় ও শ্রুতিমধুর।
জুলাই মাসের এই আন্দোলনকে মোটাদাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ ছিল ১৪ জুলাই রাত পর্যন্ত, যা ছিল শুধু কোটা সংস্কার আন্দোলন। সেখানে ব্যবহৃত স্লোগানগুলোও ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। প্রথম পর্যায়ে ব্যবহৃত স্লোগানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘কোটা না মেধা? মেধা, মেধা’ ইত্যাদি। স্লোগান ও কর্মসূচির ঘোষণা আসত আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সম্মিলিত আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী দিনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিত। তাৎপর্যপূর্ণ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার, রিচ বাড়ানোর জন্য একটি ক্যাপশন ব্যবহার করে ভিন্ন ছবি ব্যবহার করা, যেন তা অ্যালগরিদমে আটকে না যায়– এমন আরও চমৎকার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয় আন্দোলনকে বেগবান ও সফল করতে।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশবাসী পরিচিত হয় নতুন একটি শব্দের সঙ্গে–‘বাংলা ব্লকেড’। ৭ জুলাই দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক বন্ধ করে এই কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
১৪ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা ব্যবস্থা নিয়ে করা এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা চাকরি পাবে না তো কি রাজাকারের নাতিপুতিরা চাকরি পাবে!’ সেই রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে স্লোগান ওঠে, ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার। কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’।
পরদিন ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আরও কিছু স্লোগান যুক্ত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য– ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’।
১৬ জুলাই থেকে ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হয়। সেদিন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, চট্টগ্রামের ওয়াসীম আকরামসহ পাঁচজন শহীদ হন। এ সময় দেশবাসী পরিচিত হয় আরেকটি শব্দ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর সঙ্গে। ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা-খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে’ ১৮ জুলাই থেকে এই কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কমপ্লিট শাটডাউন বলতে তারা ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ বুঝিয়েছেন। এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যুক্ত হয়।
১৮ জুলাই শহীদ হন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, তিনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহীদ। এরপর আন্দোলনের রূপ পালটে যেতে শুরু করে দ্রুত। পাল্টানো হয় কর্মসূচি ও স্লোগান– ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘আমার খায়, আমার পরে, আমার বুকেই গুলি করে’; ‘তোর কোটা তুই নে, আমার ভাই ফিরিয়ে দে’; ‘সাঈদ, ওয়াসীম, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘আসছে ফাগুন, আমরা হবো বহুগুণ’; ‘শোন মহাজন, আমরা অনেকজন’; ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমিই বাংলাদেশ’; ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ দাদার’।
গণঅভ্যুত্থানের পথে এগিয়ে চলা আন্দোলনে যুগান্তকারী স্লোগানগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল– ‘ক্ষমতা না জনতা? জনতা, জনতা’; ‘আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম, সংগ্রাম’; ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’; ‘বুকের ভেতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’। এমন বহু প্রতিবাদী ও শিহরণ জাগানো স্লোগানে গর্জে উঠে বাংলাদেশ। দেশের একদম প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকা–সর্বত্র চলে এই স্লোগান।
এ সময় ‘ফ্ল্যাশ প্রটেস্ট’ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম– অল্প সময়ের জন্য হঠাৎ সংগঠিত হয়ে একত্র হওয়া বোঝাতে এটি ব্যবহার করা হতো। মূলত পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে বার্তা পৌঁছানোর জন্য এই টার্ম ব্যবহার করা হতো। কিছু জায়গা, নাম, সময়কে সাংকেতিক ভাষায় বলা হতো। যেমন– ভোর ৬টা মানে ‘মার্চ টাইম’, ‘গার্ডেন’ বলতে গণভবন। এভাবে কোড ওয়ার্ড ব্যবহার করা হতো। এসব স্লোগান এবং টার্মের নির্ধারণ হতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত প্রয়াসেই।
জেনারেশন জেড ট্রল করতে ভালোবাসে। তারা বিভিন্ন ব্যঙ্গাত্মক শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– ‘নাটক কম করো পিও’; তথ্যমন্ত্রীকে ‘তথ্যগুপ্তি মন্ত্রী’ ইত্যাদি।
আন্দোলনে আরেকটা বড় দিক ছিল ‘রক্তাক্ত জুলাই’কে শেষ হতে না দেওয়া। ৩১ জুলাইয়ের পর গণনায় আগস্ট আসেনি, এসেছে ৩২ জুলাই। সব দাবি একদফা মিলিত হতে থাকে; সেই সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন স্লোগানও– ‘দফা এক, দাবি এক, খুনি হাসিনার পদত্যাগ’; ‘দফা এক, দাবি এক, স্বৈরাচারের পদত্যাগ’; ‘এক দুই তিন চার, খুনি হাসিনা গদি ছাড়’; ‘লাশের বুকে জীবন দে, নাইলে গদি ছাইড়া দে’।
পরবর্তীকালে লং মার্চ টু গণভবন (ফাতেহ-ই-গণভবন) ঘোষিত হয়। ৩৬ জুলাই অর্থাৎ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন। সেদিন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় ঢাকাসহ সারাদেশ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন ব যবহ র কর ব যবহ র ক য ক ত হয় প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বছর শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু, কমেছে চিকুনগুনিয়া
চট্টগ্রামে বছরের শেষে এসে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম দুই দিনেই ৮৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা একটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গত বছরও এই সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছিল। এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্য।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া—দুটিই মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। দুটিই এডিস মশার কামড়ে হয়। এডিসের বংশ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নভেম্বরের শুরুতে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চট্টগ্রামে বছরের শুরু থেকে গতকাল বেলা একটা পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গত অক্টোবর মাসে। পুরো জেলায় ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯০ জন। এর আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫। চলতি নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। কারণ, শীত শুরু হলে এডিসের বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি হলে সেটি বাড়তে পারে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত কমেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬৯। তবে চিকুনগুনিয়ায় মাসভিত্তিক তথ্য দেয়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়। যদিও প্রতিদিনের আক্রান্তের হিসাব দেয় তারা। প্রাথমিক হিসাবে, গত সেপ্টেম্বর মাসে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০৪। গত অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। এ মাসে কেবল একজন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।
এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উপসর্গগুলোও কিছুটা ভিন্ন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৪১ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) এবং ১২ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।এ এস এম লুৎফুল কবির, মেডিসিন বিভাগের প্রধান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালচিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। তবে এ বছর যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে শক সিনড্রোম বেশি। পাশাপাশি ডায়রিয়ার উপসর্গও আছে। শক সিনড্রোম হলে রোগীর রক্তচাপ বোঝা যায় না। এই দুটি উপসর্গ গুরুতর। কারণ, সময়মতো ফ্লুইড (তরল খাবার) না পেলে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ এস এম লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।’
চলতি বছর এপ্রিল থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও পরের মাসগুলোয় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়। আর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে গরম কিন্তু কমেনি। এই বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা চলতি বছর ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে সংক্রমণ কমাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নগরের ২৫টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও ২৫টি এলাকাকে চিকুনগুনিয়ার জন্য হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে বন্দর, ইপিজেড, হালিশহর, কোতোয়ালি, বায়েজিদ, পাহাড়তলী, কাট্টলী, খুলশী, ডবলমুরিং, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, দেওয়ানহাট, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর, সদরঘাট—এসব এলাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশেষ দল করা হয়েছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জন্য। নিয়ম করে এলাকা ভাগ করে রুটিন অনুযায়ী ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার ২৮ দিন পর্যন্ত মশার প্রকোপ থাকে বলে ধারণা করা হয়। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ডেঙ্গু বাড়তে পারে।