এসআই পরিচয়ে থানায় তরুণী, কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা
Published: 5th, July 2025 GMT
পুলিশের পোশাক পরে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন তানিয়া আক্তার (২৬) নামে এক তরুণী। নিজেকে পরিচয় দিতেন পুলিশের এসআই হিসেবে। বৃহস্পতিবার রাতে জয়দেবপুর থানায় গিয়ে নিজেকে পরিচয় দেন এসআই হিসেবে। কিন্তু কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বোরকা পরিহিত এক নারী থানায় আসেন। তিনি নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দেন। এ সময় দায়িত্বরত এক কনস্টেবলকে তিনি ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন। এতেই সন্দেহ হয়। পরে দেখা যায় তিনি বোরকার নিচে পুলিশের পোশাক পরেই থানায় ঢুকেছেন। কিন্তু তিনি পুলিশের কোনো সদস্য নন। পরে তাকে আটক করা হয়। পরে শুক্রবার ওই নারীর বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানার এসআই শাহীন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ওসি বলেন, ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তবে রিমান্ডের শুনানি এখনও হয়নি।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজারী (মধ্যপাড়া) এলাকার বাসিন্দা আবু তালেবের মেয়ে তানিয়া। তার কাছ থেকে পুলিশের একটি ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জিএমপির পোশাকসহ পুলিশের ব্যবহৃত আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পুলিশের এসব পোশাক কোথা থেকে এলো, তার উদ্দেশ্য কী ছিল তা তদন্ত করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসআই
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে ধর্ষণের মামলা: চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মমিনুল হক শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন। আজ শুনানির সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদিকুর রহমান বলেন, আসামিরা মুরাদনগর থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় কারাগারে ছিলেন। আজ শুনানি শেষে আদালত তাঁদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলাটি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করছি, আগামী শনিবারের মধ্যে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে। আজ রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিদের আবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুনলোকজনের ভিড়, সাক্ষাৎকারের ‘চাপ’—বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী০১ জুলাই ২০২৫নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে যাঁদের শনাক্ত করেছি, তাঁরা এলাকা থেকে পলাতক। তবে তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই চার আসামির জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সবাই আইনের আওতায় আসবেন।’
আরও পড়ুনপ্রধান আসামির দলীয় পরিচয় নিয়ে ঠেলাঠেলি, ‘নোংরা রাজনীতি’ বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৩০ জুন ২০২৫গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে ফজর আলীকে পেটাতে থাকেন। এ সময় ওই নারীকেও বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ ফজর আলী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুনমুরাদনগরে দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা২৮ জুন ২০২৫