মেডুসা: ঘুমন্ত অবস্থায় যাকে মেরে ফেলা হয়েছিলো
Published: 16th, November 2025 GMT
গ্রিক পুরাণে মেডুসা ছিলেন একজন সুন্দরী নারী।কিন্তু পরবর্তীতে অভিশাপের কারণে সর্পকেশী দানবীতে পরিণত হন। মেডুসার কাহিনী গ্রিক পুরাণের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রগুলোর মধ্যে একটি। এটি শিল্প ও সাহিত্যে প্রতিশোধ, দুর্ভাগ্য এবং রূপান্তরের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
মেডুসা ছিলেন তিন বোনের মধ্যে একমাত্র মরণশীল। তাদের পিতা-মাতা ছিলেন সমুদ্র দেবতা ফোরসিস এবং কেটো।পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মেডুসা ছিলেন সোনালী চুলের এক অপূর্ব সুন্দরী কুমারী এবং দেবী এথেনার মন্দিরের একজন ধর্মযাজিকা। রোমান কবি ওভিডের ‘মেটামরফোসেস’ (Metamorphoses) অনুসারে, সমুদ্র দেবতা পসেইডন দেবী এথেনা মন্দিরের পবিত্র স্থানে মেডুসাকে ধর্ষণ করেন। পসেইডনকে শাস্তি না দিয়ে, অ্যাথেনা তার মন্দির অপবিত্র করার জন্য মেডুসাকে অভিশাপ দেন। এই অভিশাপের ফলে মেডুসার সুন্দর চুল বিষাক্ত সাপে পরিণত হয় এবং তার দৃষ্টিতে জাদু ক্ষমতা আসে, যার মাধ্যমে যে কাউকে পাথরে পরিণত করা যেত।
আরো পড়ুন:
পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ আর পিঁপড়ার ওজন সমান!
গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য
গ্রিক বীর পার্সিউস মেডুসাকে হত্যা করেছিলেন। সেরাইফোস দ্বীপের রাজা পলিডেক্টিসের নির্দেশে পার্সিউস এই অভিযানে যান। দেবতাদের সাহায্যে তিনি মেডুসাকে বধ করতে সক্ষম হন। হার্মিস তাকে একটি ধারালো তলোয়ার দেন এবং এথেনা একটি চকচকে ব্রোঞ্জের ঢাল দেন, যাতে পার্সিউস সরাসরি মেডুসার দিকে না তাকিয়ে ঢালে তার প্রতিচ্ছবি দেখে তাকে হত্যা করতে পারেন।
পার্সিউস ঘুমন্ত মেডুসার মাথা কেটে ফেলেন। মেডুসার শরীর থেকে তার দুই সন্তান, পাখাওয়ালা ঘোড়া পেগাসাস এবং দানব ক্রিসাওর বেরিয়ে আসে (কারণ মৃত্যুর সময় মেডুসা পসেইডনের সন্তানের গর্ভবতী ছিলেন)।
মেডুসার কাটা মাথাও তার ক্ষমতা হারায়নি। পার্সিউস তার শত্রুদের পাথরে পরিণত করতে এটি ব্যবহার করেছিলেন। পরে তিনি মাথাটি দেবী এথেনাকে উপহার দেন, যিনি এটি তার ঢালে স্থাপন করেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কল করে ‘কাকন বাহিনী’র প্রধান বললেন, তিনি প্রকৌশলী, ইজারা নিয়ে বালুর ব্যবসা করছেন
পদ্মার চরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, খুন, চাঁদাবাজি ও বালু লুটের ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ নাম সামনে আসছে। পুলিশ ৯ নভেম্বর ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ নামে অভিযান চালিয়ে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পরদিন রাত ১১টার পর ‘কাকন বাহিনী’র একজন এই প্রতিবেদককে কল করে বলেন, কাকন কথা বলতে চান। কথামতো ওই ব্যক্তির মুঠোফোনে কাকন কল করেন। তিনি ফোনটি এই প্রতিবেদককে ধরিয়ে দেন। তাঁর সঙ্গে ৩৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড কথা হয়। কথোপকথনের সেই রেকর্ড কাকনকে চেনেন, এমন কয়েকজনকে শোনালে তাঁরা কণ্ঠটি তাঁর বলে নিশ্চিত করেন।
কথা শুরু করে বলেন, মামলার একেক এজাহারে একেক নাম ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম হাসানউজ্জামান কাকন। তিনি প্রকৌশলী, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছেন। ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি বিদেশে ছিলেন। তারপর ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তাঁর দাবি, ২০২০ সাল থেকে তিনি নাটোরের লালপুরের দিয়াড় বাহাদুরপুর বালুমহাল ইজারা নিয়ে বৈধভাবে বালুর ব্যবসা করছেন। তিনি মূল মালিক নন। তিনি একজন অংশীদার। ইজারার মূল্য ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুনকথার আগে গুলি চালায় ‘কাকন বাহিনী’, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল৩১ অক্টোবর ২০২৫তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে ‘কাকন বাহিনী’কেন বলা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন করলে হাসানউজ্জামান কাকন দাবি করেন, ‘এটা আসলে আমি নিজেও জানি না কেন, কীভাবে হলো। এটা আমি দেখতে পাচ্ছি, কিছু দুর্বৃত্ত খারাপ মানুষের কারণে হচ্ছে। এগুলা ফটোশুট করা এবং বানানো।’
গত ২৭ অক্টোবর চরে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে ‘কাকন বাহিনী’র গুলিতে তিন কৃষক নিহত হন। এ ঘটনায় হাসানউজ্জামান কাকনসহ কয়েকজনের নামে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়। রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। মামলার প্রধান আসামি হিসেবে কেন হাসানউজ্জামান কাকনের নাম এল, এর জবাবে তিনি দাবি করেন, এটা ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি সেখানে ছিলেন না, তিনি কিছু জানেন না। পুরোটাই সাজানো। তাঁর নামে যে কয়টা মামলা হয়েছে, কোথাও তিনি ছিলেন না। অস্ত্র, স্পিডবোট নিয়ে যেসব ছবি আছে, তার কোথাও তাঁর ছবি নেই।
আরও পড়ুনদুজনকে হত্যার ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ কাকনকে প্রধান আসামি করে মামলা২৯ অক্টোবর ২০২৫বাহিনীর প্রধান মো. রোকনুজ্জামান কাকন ওরফে ইঞ্জিনিয়ার কাকন