জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যতদিন ফ্যাসিবাদের অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন আমাদের লড়াই চলবে। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে নয়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। এই ফ্যাসিবাদ পুরাতন হোক, আর নতুন হোক।

শনিবার সকালে ফেনী যাওয়ার পথে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় মহানগর জামায়াতের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি দাউদকান্দি, চান্দিনা, আলেখারচর বিশ্বরোড ও চৌদ্দগ্রামে পৃথক পথসভায় বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা চলছে মন্তব্য করে ডা.

শফিকুর রহমান আরও বলেন, মেঘ যত ঘন হোক সূর্যকে আটকে রাখতে পারবে না। আগামীতে বাংলাদেশে মুক্তির সূর্য উঠবেই, ইনশাআল্লাহ।

জামায়াত আমির বলেন, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা ১৪, ১৮ ও ২৪ মার্কা যেনতেন নির্বাচন চাই না। এ ধরনের কিছু আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা এ ধরনের অপকর্মের চিন্তা করছেন, তাদের জন্য আমাদের স্পষ্ট বার্তা, মানুষ রক্ত দিয়ে পরিবর্তন এনেছে, আবার প্রয়োজনে রক্তের বিনিময়ে পরিবর্তনকে সফল করব। এক্ষেত্রে এ জাতি কাউকে কোনো ছাড় দেয়নি, আমরাও দেব না।

পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবু তাহের মো. মাসুম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা-৮ বরুড়া আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মু. সফিকুল আলম হেলাল, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।

এদিকে শনিবার বিকেলে ফেনীর কমিউনিটি সেন্টারে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন, ময়লা-আবর্জনা যদি পরিষ্কার না হয়। আবার যদি এ অবস্থায় একটি নির্বাচন হয়, তা হবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণহত্যার শামিল। আমাদের সন্তানদের রক্তের সঙ্গে আমরা বেইমানি করব না এবং কাউকে বেইমানি করতে দেওয়া হবে না। জামায়াতে ইসলামী ফেনী জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত র আম র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প কী ভাবছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার বলেছেন, তিনি আপাতত এমন কোনো চুক্তির কথা ভাবছেন না, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে সহায়তা করবে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনা নিয়েও ট্রাম্প অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এসব দেশ পরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষ্য হলো, তিনি যুদ্ধকে আরও তীব্র করতে চান না।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পের সবশেষ এ মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনকে টমাহক দিতে তিনি এখনো অনিচ্ছুক।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছেন?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আসলে তা নয়।’ তবে তিনি যোগ করেন, ভবিষ্যতে নিজের মত বদলাতে পারেন।

গত ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে। বৈঠকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়।

গত শুক্রবার মার্ক রুত্তে বলেন, বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়া হলে পরিণতি ভালো হবে না।

আরও পড়ুনটমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না২০ ঘণ্টা আগে

দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমাহক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়।

ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে টমাহক। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে টমাহক রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ