অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাঙতে হবে বাংলাদেশের রেকর্ড
Published: 6th, July 2025 GMT
গ্রেনাডায় রেকর্ডটা এখনো বাংলাদেশের দখলে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে রেকর্ড ২১৭ রান তাড়া করেছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হলে এখন নতুন রেকর্ড গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
কারণ, তৃতীয় দিন শেষেই অস্ট্রেলিয়ার লিড ২৫৪ রান। হাতে এখনো ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে। ২৬ রানে অপরাজিত আছেন অ্যালেক্স ক্যারি। মানে লিড ৩০০ ছাড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু হবে না!
কঠিন উইকেটেও অস্ট্রেলিয়াকে বড় লিড এনে দেওয়ার কাজটা করেছেন স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন গ্রিন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। ২৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এমন একটি জুটিই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
২২১ রান নিয়ে দিনশেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে বেহাল সড়ক, ভোগান্তি
চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা এখন দুর্ভোগের আরেক নাম। এলাকার প্রায় প্রতিটি সড়কেই চলছে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়ি। কিছু সড়ক আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ, কোথাও বিশাল খননযন্ত্র দাঁড়িয়ে আছে আর কোথাও ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করা হলেও পিচঢালাই নেই। ফলে বাসিন্দা ও পথচারীদের জন্য চলাচল হয়ে উঠেছে কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।
জানা গেছে, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের আওতায় সড়কে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। তবে ধীরগতির কাজ ও বারবার সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কারণে কষ্টে আছেন এলাকাবাসী। এ আবাসিক এলাকায় বিদ্যালয়, সরকারি অফিস ও হাসপাতাল রয়েছে। বর্তমানে এ এলাকায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ বসবাস ও যাতায়াত করেন।
বড় গর্ত নেই, এটি সত্য। তবে ভাঙা আছে অনেক স্থানে। পিচঢালাই না থাকায় যান চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা মোটরসাইকেল চালান, তাঁরা কোমর ও পিঠের সমস্যায় ভুগছেন। রিকশাচালকেরাও এলাকায় আসতে বাড়তি ভাড়া চান।মো. আলাউদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দাসম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, আবাসিক এলাকাটির সব সড়কই খানাখন্দে ভরা। ওয়াসার প্রকল্পের কাজের জন্য অন্তত তিনটি সড়ক পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও চারটি সড়কের একাংশ বন্ধ। আবাসিক এলাকায় প্রবেশের সড়কও বেহাল।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের মার্চ মাসের দিকে এ এলাকায় পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ শুরু করে ওয়াসা। এর আগেও এখানে প্রায়ই পানি উঠত। তবে সড়কের খোঁড়াখুঁড়ির পর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাড়তি দুর্ভোগ। পানি কম উঠলেও ভাঙা রাস্তায় চলা মুশকিল। দূর থেকে শিক্ষার্থীদেরও হেঁটে আসতে হয়। বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে আসতে সময় বেশি লাগে।
২০১৮ সালে ‘চট্টগ্রাম মহানগরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা স্থাপন’ শীর্ষক প্রথম প্রকল্প অনুমোদন পায় একনেক সভায়। এরপর আরও পাঁচটি প্রকল্প নিয়েছে ওয়াসা। পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পুরো শহরকে ছয়টি অঞ্চল বা ক্যাচমেন্টে ভাগ করেছে সংস্থাটি। ক্যাচমেন্টগুলো হলো হালিশহর, কালুরঘাট, ফতেয়াবাদ, পূর্ব বাকলিয়া, উত্তর কাট্টলি ও পতেঙ্গা। এর মধ্যে হালিশহর ক্যাচমেন্টের আওতায় আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা।
সড়কের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে চলছে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ। এতে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা