রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ভোর চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তা পার হওয়ার সময় কাভার্ড ভ্যানটি তাঁদের চাপা দেয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন আশরাফ আলী (৪৫) ও নেহার বেগম (৪০)।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সাজ্জাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ড ভ্যান রাস্তা পার হওয়ার সময় আশরাফ আলী ও নেহার বেগমকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁরা নিহত হন।

ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে এবং চালক আবুল কাশেমকে আটক করা হয়েছে।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাসংক্রান্ত একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নোমানের রাজ্যে আফ্রিদিও রাজা, দুর্দান্ত জয় পাকিস্তানের

বিউটিফুল, বিউটিফুল!

ডেভাল্ড ব্রেভিসকে বোল্ড করা নোমান আলীর বলটা দেখে ধারাভাষ্যকার আমির সোহেলের কণ্ঠে মুগ্ধতা।

যেভাবে লেগ স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে বল অফ স্টাম্পে লেগেছে তাতে বোধ হয় ক্রিকেটপ্রেমী যেকেউই এমন মুগ্ধ হবেন। পাকিস্তান সমর্থকেরা হয়তো এর সঙ্গে  বাড়তি বিশেষণও যোগ করবেন! নোমান আলীর সেই বলেই মূলত নিশ্চিত হয়ে গেছে লাহোর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে  পাকিস্তানের জয়।

জিততে চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ২৭৭ রান। এমন টার্নিং উইকেটে কাজটা সহজ ছিল না, বিশেষ করে নোমান আলীর সামনে। বাঁহাতি এই স্পিনার প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে নেন আরও ৪টি।

শাহিন শাহ আফ্রিদিও পাশে ছিলেন—তিনিও সঙ্গ দিয়েছেন ৪ উইকেট নিয়ে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুটিয়ে গেল ১৮৩ রানে। দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টে ৯৩ রানে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

আজ সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা দিন শুরু করে ২ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে। দিনের তৃতীয় বলেই প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান টনি ডি জর্জিকে দুর্দান্ত এক বলে ফেরান আফ্রিদি। কিছুক্ষণ পর নোমানের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন ত্রিস্তান স্টাবস।

৫৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ব্রেভিস। কঠিন উইকেটে ৫১ বলে ৫০ রান করে দলকে ভরসা দেন তিনি। রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে গড়েন ৭৩ রানের জুটি।

কিন্তু তারপরই আসে সেই জাদুকরী মুহূর্ত। নোমানের হাওয়ায় ভাসানো বলটি লেগ স্টাম্পে পড়ে অফ স্টাম্পে গিয়ে আঘাত করে। বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন ব্রেভিস। এই উইকেটে দিয়েই ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন নোমান আলী, টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো।

একই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার সেনুরান মুতুসামিও নিয়েছেন ১০ উইকেট। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বরং দুই বাঁহাতি স্পিনারের ১০ উইকেট নেওয়া দেখে প্রোটিয়াদের আক্ষেপ আরেকটু বাড়তে পারে। কারণ তাদের সেরা বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজ এই ম্যাচে খেলেননি। দেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। ১১ তারিখে ডলফিনস-লায়নস ম্যাচ শেষ হওয়ার একদিন পরই শুরু হয় পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। সময়মতো দলে যোগ দিতে পারেননি মহারাজ।


দ্বিতীয় ইনিংসে শাহিন আফ্রিদিও ছিলেন দুর্দান্ত। অষ্টম উইকেটে সাইমন হারমার ও কাইল ভেরেইনা ২৯ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে খানিকটা চাপে ফেলেছিলেন। ঠিক তখনই শাহিন ফিরে এসে নিলেন টানা ৩ উইকেট। অনেক দিন পর টেস্টে ফেরা এই পেসার রিভার্স সুইংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের নাচিয়ে ছেড়েলেন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলেই ভেরেইনাকে এলবিডব্লু করেন। পরের ওভারেই উড়িয়ে দিলেন প্রেনেলান সুব্রায়েন ও কাগিসো রাবাদার স্টাম্প। শেষ পর্যন্ত ৩৩ রানে ৪ উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে এটিই শাহিনের সেরা বোলিং।

সম্পর্কিত নিবন্ধ