গাজীপুরে পুকুরে গোসলে নেমে ২ কিশোরের মৃত্যু
Published: 6th, July 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ( ৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলো, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড় মির্জাপুর এলাকার আকমাল হোসেনের ছেলে জুনায়েদ (১২) এবং সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার তালতলা গ্রামের শামীমের ছেলে আব্দুল মমিন (১২)। তারা দেউলিয়াবাড়ী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
টেক্সাসে বন্যায় ১৫ শিশুসহ ৫১ জনের মৃত্যু
শীতলক্ষ্যায় গোসলে নেমে শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৬ জুলাই) সকালে দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় পুকুরে গোসল করতে নামে জুনায়েদ ও মমিন। গোসলের এক পর্যায়ে তারা পানিতে ডুবে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন ও পুলিশ বেলা ১১টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
জুনায়েদ ও মমিন স্থানীয় মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি
চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।
রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।