ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল সবাই প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু বিএনপি সংসদে গিয়ে সেই নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। দলের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) মুফতি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নাবী, রাজশাহী জেলার সভাপতি মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘বিএনপি আজকে আমাদের বলে আওয়ামী লীগের দালাল। আমরা নাকি আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছি। রাজনীতি করবেন, জেনেশুনে রাজনীতি করেন।’ তিনি বলেন, তাঁরা আজ পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। ’১৪ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন অংশগ্রহণ করেনি। ’১৮ সালের নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করেছে। এ কারণে তাঁরাও অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তখনো গণভবনে যাননি। তখন কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পর্যন্ত গণভবনে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনার কাছে। কিন্তু তাঁরা যাননি। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকও করেননি।

সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে সবাই। কিন্তু বিএনপি অবৈধ সংসদে গিয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। সেই সংসদকে তারা বৈধ ঘোষণা দিয়েছে। অবৈধ সংসদে বিএনপির পাঁচ-ছয়জন সদস্য গিয়ে পুরা নির্বাচনটাকে বৈধ ঘোষণা করছে। তারা আওয়ামী লীগের দালাল না। আর আমরা আওয়ামী লীগের দালাল!’

সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘বিগত দিনে বিএনপি ভোট পেয়েছে। আগামীতেও ভোট পাবে, সেই চিন্তায় আছে তারা। কেন মানুষ ভোট দিবে তাদের। পাটগ্রাম থানায় পুলিশদের মারার জন্য। থানা লুট করার জন্য, থানা ভাঙচুর করার জন্য আপনাদেরকে ভোট দিবে? এই পর্যন্ত ১৫০-এর উপরে খুন হয়ে গেছে। বিএনপির নিজেরা নিজেরা মারামারি করতে করতে বহুত লোক পঙ্গু হয়ে গেছে। এখনো ক্ষমতায় যায় নাই। তাতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ক্ষমতায় গেলে অবস্থাটা কী হবে। এ দেশের মানুষ এখন সেই মানুষ আর নাই। মানুষ সচেতন হয়েছে। মানুষের চক্ষু খুলছে। এমন কোনো জায়গা নাই, যেখানে চাঁদা তোলে না বিএনপি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর