বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর যুগ্ম মুখ্য সংগঠক শেখ রাফসান জানী পদত্যাগ করেছেন। সোমবার নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে পদত্যাগপত্র সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
খুলনায় অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন রাফসান তাদের মধ্যে অন্যতম। আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট গগণবাবু রোডে পুলিশের গুলিতে মারাত্মক জখম হন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রাফসান উল্লেখ করেন, ‘গত জুলাইতে এক কঠিন পদযাত্রার মাধ্যমে আমরা এক ব্যানার গড়ে তুলেছিলাম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। কিন্তু ৫ আগস্টের পর খুলনাতে স্বার্থ, দ্বন্দ্ব, দুর্নীতি আর পদ দখলের লড়াইতে ব্যানারে ঘুণ ধরতে শুরু করে। খুবির ক্ষমতার ঈর্ষা আর পাঞ্জাবীওয়ালার কূটচালে ব্যানার থেকে বিপ্লবীদের সরিয়ে সুবিধাবাদীদের স্থান করে দেওয়ার এক খেলা শুরু হয়। ফলাফল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা এক ঘুণে পচে যাওয়া ফার্নিচারে পরিণত হয়েছে আজ।’
পদত্যাগের পর এখন থেকে ছাত্রদলের সঙ্গে রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে রাফসান জানী বলেন, আন্দোলনে আমি ও আমার বাবা অনেক রক্ত ও শ্রম দিয়েছি। বিনিময়ে আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ চাপিয়েছে আমার ব্যানারের লোকজন। তখন থেকেই আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আমার আত্মত্যাগের কাছে কোনো পদ বড় হতে পারে না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ ২
কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুই শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা মিরপুরের পল্লবী দক্ষিণের বাসিন্দা কে এম আনিসুর রহমানের ছেলে সাদমান রহমান সাবাব (২১)।
নিখোঁজ বাকি দুজন হলেন, বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান ও বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে আসিফ আহমেদ।
সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ৫ বন্ধু মিলে কক্সবাজার ঘুরতে আসেন তারা। সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩-২৪ সেশনের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা সকালে হিমছড়ি সৈকতে যান। তাদের মধ্যে দুজন বাঁধের উপরে বসে ছিলেন আর বাকি ৩ জন বাঁধের নিচে নেমে গোসল করতে নামেন। এ সময় ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে ভেসে যান। যার মধ্যে সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বৃষ্টি আর আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল। ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, সাবাব নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।