পণ্যমূল্য কম দেখিয়ে রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার হয়েছে
Published: 8th, July 2025 GMT
রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য কম দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৫৭ শতাংশই শতকোটি টাকার। এসব ঋণ আদায় জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে সব ব্যাংকের এমডিদের নিয়ে আয়োজিত ব্যাংকার্স সভায় এসব বিষয় উঠে আসে। গভর্নর ড.
বৈঠকে জানানো হয়, বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক পরিদর্শন করে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাচার এবং হুন্ডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দেখানো, পণ্যের ওজন বেশি দেখানো এবং শুল্ক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি এড়াতে একটি ইএক্সপির বিপরীতে একাধিক ইনভয়েসের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করা হচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশে যে মূল্য ও ওজন হিসাব করে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশে কয়েক গুণ কম মূল্য এবং বেশি ওজন দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি করছে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, নামমাত্র মূল্যে স্টক লটের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ইনভয়েসে স্টক লটের বিষয় উল্লেখ না করেও অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটছে। আবার বিদেশি ক্রেতাকে শুল্ক ফাঁকির সুবিধা দিতে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। অবশিষ্ট মূল্য রেমিট্যান্স হিসেবে এনে প্রণোদনা নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ব্যাংকগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৭টির শতকোটি টাকা বা তার বেশি অঙ্কের খেলাপি চিহ্নিত হয়েছে। ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় খেলাপির কাছে ব্যাংকগুলোর পাওনা ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা বা মোট খেলাপি ঋণের ৫৭ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৯ সালে এ ধরনের খেলাপি ঋণ তদারকিতে বিশেষ সেল গঠন এবং প্রতি ত্রৈমাসিকে পরিচালনা পর্ষদ থেকে এ ধরনের ঋণ তদারকির নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকালের সভা থেকে পরিচালনা পর্ষদ থেকে এসব ঋণ আদায়ের কর্মপরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে মামলা পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকালের বৈঠকে ব্যাংক থেকে এলসির দায় পরিশোধের পর আমদানিকারক পরিশোধ না করলে তাৎক্ষণিকভাবে ফোর্স ঋণ সৃষ্টি এবং ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার যথাযথ প্রতিফলন নিশ্চিত করতে নিরীক্ষা বছরের নবম মাস ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমাসহ বিভিন্ন আলোচনা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অর থ প চ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের স্পন্সর হলো ওয়ালটন
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে যুক্ত হলো ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। আর্জেন্টিনা দলের অফিশিয়াল রিজিওনাল স্পন্সর হলো ওয়ালটন। এরফলে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সব ধরনের ব্র্যান্ডিং স্বত্ত্ব লাভ করলো ওয়ালটন। এখন থেকে ওয়ালটন পণ্যের নানান ধরনের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমে দেখা যাবে মেসি-মার্টিনেজদের, যা প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
সম্প্রতি আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এবং ওয়ালটনের মধ্যে এ উপলক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ওয়ালটন এবং এএফএ।
আরো পড়ুন:
কুবিতে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধন
হংকংয়ের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ওয়ালটনের সঙ্গে এই পার্টনারশিপের ঘোষণা দিয়ে পোস্ট করেছে এএফএ। যেখানে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সুবিশাল কারখানা ও বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে দেখা গেছে আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলারদের। এর আগে অফিশিয়াল ওয়েসবাইটেও অন্যান্য স্পন্সরদের সঙ্গে ওয়ালটনের নাম ও লোগো প্রকাশ করেছে এএফএ।
বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে কাজ করছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের লক্ষ্য অর্জনের পথ আরো সুগম হবে। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে মাঠ মাতাবে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়েরা। আর ঘরে ঘরে বিশ্বজুড়ে ওয়ালটন মাতাবে কোটি কোটি ক্রেতার মন।
ঢাকা/ফিরোজ