যশোরের বাঘারপাড়ায় ঘরের ভেতর লেপ-তোশক রাখা স্টিলের বাক্সের ভেতর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) ঘোষনগর গ্রামের তপন দেবনাথের স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তপন দেবনাথকে (৬৪) আটক করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

যমজ শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার দায় স্বীকার মায়ের

হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা, একসঙ্গে গ্রেপ্তার ৭ আসামি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে তপন দেবনাথ বাড়িতে এসে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর লেপ-তোশক রাখা স্টিলের বাক্সের ভেতর স্ত্রীর নিথর দেহ দেখতে পান। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সুচিত্রা দেবনাথকে ধারালো কিছু দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ লুকাতে স্টিলের বাক্সের ভেতর রেখে কাপড় ও লেপ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাইজুর রহমান বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহতের সঙ্গে তার স্বামীর কলহ লেগেই থাকত। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়েছে।’’

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ আটক দ বন থ র ভ তর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ঘরে বাক্সের ভেতর কাপড়-বালিশের নিচে ছিল গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী আটক

যশোরের বাঘারপাড়ায় ঘরের ভেতর লেপ-তোশক রাখা স্টিলের বাক্সের ভেতর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের তপন দেবনাথের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তপন দেবনাথকে (৬৪) আটক করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, তপন দেবনাথ ও চিত্রা দেবনাথ দম্পতির দুই মেয়ে এক ছেলে। ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয়েছে। ছেলে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যশোর শহরে থাকেন। বাড়িতে তপন দেবনাথ ও চিত্রা দেবনাথ থাকতেন। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, গতকাল সকালে সুচিত্রা দেবনাথকে শেষবারের মতো দেখা যায়। এরপর তাঁর স্বামী তপন দেবনাথ যশোর শহরের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুরে বাড়ি ফিরে তিনি স্ত্রীকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় চারপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি নিজের টিনের দোচালা বসতঘরের ভেতরে রাখা স্টিলের বাক্স খুলে দেখতে পান, ভেতরে কাপড় ও বালিশে নিচে হাঁটু ভাঁজ করা অবস্থায় চিত্রা দেবনাথের মরদেহ রাখা রয়েছে। তখন তিনি থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর রাত ১০টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বাঘারপাড়া থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ বলছে, সুচিত্রা দেবনাথের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ঠোঁটে হাল্কা কাটা দাগ রয়েছে। তাঁকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এরপর মরদেহ লুকাতে স্টিলের বাক্সে  কাপড় ও বালিশ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী নিজেই মাথায় আঘাত করে স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ বাক্সের ভেতর লুকিয়ে রেখেছিলেন। স্বামী তপন দেবনাথকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘরে বাক্সের ভেতর কাপড়-বালিশের নিচে ছিল গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী আটক