নির্বাচন নেই বলেই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি: মির্জা ফখরুল
Published: 12th, July 2025 GMT
দেশে নির্বাচন নেই বলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি কোনো অন্যায়কে সমর্থন করে না। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেসব ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে যাওয়ার প্রধান বাহন হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন নেই বলেই আজকে দেশে আপনার এই ঘটনাগুলো ঘটছে, আইনশৃঙ্খলার ঘটনাগুলো ঘটছে, অবনতি ঘটছে, মৃত্যু বাড়ছে, দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে। কারণ, তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) পেছনে সেই ধরনের জনসমর্থন নেই।.
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের যেসব নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানের আয়োজক বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে এই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
পুরান ঢাকার নৃশংসহ হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই। যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সরকারকে আহ্বান জানাব, অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত যারা অপরাধী, তাদেরকে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।’
শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে প্রথমে শহীদ পরিবারের দাবি পূরণ করা হবে।
জুলাই সনদের কথা বিএনপি তিন মাস আগেই সরকারকে জানিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এর মধ্যে যতটুকু পরিবর্তন-পরিবর্ধন দরকার, তার জন্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সরকারকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। সঞ্চালক ছিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব এনপ র ছ ত রদল সরক র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।