এয়ার টিকিট ফের সিন্ডিকেটের দখলে, অভিযোগ আটাবের
Published: 12th, July 2025 GMT
আকাশপথের টিকিটের বাজার পুনরায় সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটাব বলেছে, গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে রিয়াদ, জেদ্দা, মদিনা, দাম্মাম রুটে টিকিটের মূল্য ‘গ্রুপ নামেই’ প্রায় ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। আর ‘কম্পিউটার সিস্টেমে’ এটা উঠে যায় ১ লাখ ৭০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশের এয়ার টিকিটের উচ্চমূল্য কমানো এবং এ খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে। তাতে যাত্রীর নাম, পাসপোর্টের বিবরণ ও পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে টিকিট বুকিং করার নির্দেশনা দেওয়া ছিল। এতে টিকিটের মূল্য কমে আসে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ‘বাজেট’ এয়ারলাইন্স ও সিন্ডিকেট চক্র পুনরায় সক্রিয় হতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে আটাব।
তারা বলছে, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স ভুয়া নাম দিয়ে টিকিট বুক করে রাখে। ভুয়া নামে বুকিং টিকিটগুলো ফ্লাইটের এক-দুই দিন আগে নাম পরিবর্তন করে বিক্রি করা হয়। আটাব বলছে, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে এয়ারলাইন্স, গ্লোবাল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) ও টিকিট সিন্ডিকেট চক্র যাত্রীর নামবিহীন অগ্রিম ‘গ্রুপ বুকিং’ করছে এবং পুনরায় এয়ার টিকিট মার্কেট তাদের সিন্ডিকেশনের দখলে নিয়ে কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি করে এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করছে। ফলে সাধারণ জনগণ, ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সবাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সংগঠনটি বলছে, আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় টিকিটের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে। শ্রমিক ও যাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। দাম আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে আটাব। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের যাত্রীদের টিকিট বিদেশি এজেন্সির কাছে নাম ছাড়া ‘ব্লক করে’ দিয়ে আসন সংকট সৃষ্টি করছে। বিদেশি এজেন্সিরা দেশের কিছু সিন্ডিকেট এজেন্সি ও দালালদের মাধ্যমে এসব টিকিট বিক্রয় করে টাকা হুন্ডি করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
সংগঠনটি বলছে, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ফ্লাইট কমানোর ফলে আসনও কমে গেছে, যা টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ। সরকারের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়ন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় এয়ার টিকিটের বাজার পুনরায় সিন্ডিকেটদের দখলে চলে যাচ্ছে। এ জন্য সংগঠনটি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুই বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিয়োগ
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন–এর মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ রেহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শায়লা ইয়াসমিনকে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন এর প্রশাসক এবং উপসচিব মো. আব্দুল মালেককে বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এর প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।
আদেশে বলা হয়, যেহেতু, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন; যেহেতু, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের বর্তমান কমিটি সংগঠনটিকে কেন সুপ্ত সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশের সন্তোষজনক জবাব উপস্থাপন করতে পারেননি; যেহেতু, তদন্তকারী কর্মকর্তা ভোটার তালিকা প্রণয়নে ত্রুটি ও বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে মতামত দিযেছেন: যেহেতু, এফবিসিসিআই এর সালিশী ট্রাইব্যুনাল রোয়েদাদে জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন ২০২৫-২০২৭ এর জন্য ঘোষিত ১৩/০২/২০২৫ তারিখের নির্বাচন তফসিল বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ১৯৯৪ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (২) অনুসারে ঘোষিত না হওয়ায় তা ত্রুটিপূর্ণ হওয়াসহ ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ; যেহেত, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন এর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না; সেহেতু, বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক সংগঠনটির পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বাতিলপর্বক সরকারের অনুমোদনক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শায়লা ইয়াসমিনকে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন এর প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হলো। তিনি ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করত: নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
আরেক আদেশে বলা হয়, যেহেতু, বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন;
যেহেত, বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এর বর্তমান কমিটি এফবিসিসিআই এর সালিশী ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-০১/২০২৫ এর ৯ ফেব্রুয়ারির রায় অমান্য করে নির্বাচন করেছে।
যেহেতু, এফবিসিসিআই কর্তৃক ০৯.০২.২০২৫ তারিখের আদেশ বাস্তবায়ন এবং সংগঠনের সংঘবিধি ও সংঘস্মারক অনুসরণ করে যথাযথ নিয়মে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে।
যেহেতু বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ত্রুটি বিদ্যমান; সেহেতু, বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক সংগঠনটির পরিচালনা পর্যদ বাতিলপূর্বক সরকারের অনুমোদনক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুল মালেক-কে বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এর প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হলো। তিনি ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করত: নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।