বহুল আলোচিত হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদের মৃত্যুতে যেন একটি যুগের পরিসমাপ্তি ঘটল। এই সেই তানভীর মাহমুদ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সূচনা হয়েছিল বড় আকারের দুর্নীতির যাত্রা; যা ‘হল-মার্ক কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত। ২০১১-১২ সালে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের এই ঘটনা তখন দেশজুড়ে আলোচনা তৈরি করে। কারণ, তখন দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় এটা ছিল সবচেয়ে বড় আর্থিক অপরাধ।

একটি ব্যাংক থেকে এভাবে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা শুধু একটি আর্থিক অপরাধ ছিল না, এটি ছিল দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা ও প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতার এক কালো অধ্যায়; যা পরবর্তীকালে আরও বহু ব্যাংক লুট ও দখলের পথকে উসকে দেয়। এরপর ঘটে একের পর এক ব্যাংক দখল, লুটপাট ও অর্থ পাচার; যার ফলে এখন কয়েকটি ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা টাকা তুলতে পারছেন না, কর্মীদের বেতন পেতেও সমস্যা হচ্ছে। সেই পাঁচ ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর ৩৬ শতাংশ ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে, খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা।

বহুল আলোচিত হল–মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.

তানভীর মাহমুদ গত শনিবার রাতে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলে ছিলেন। অসুস্থ হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তিনি সেখানে কারা হেফাজতে ছিলেন।

যেভাবে অর্থ বের করে হল-মার্ক

সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদই হল-মার্ককে প্রথম ঋণ দিয়েছিল। এই সুযোগ নিয়ে রূপসী বাংলা শাখা নিয়মিতভাবে হল-মার্ক গ্রুপকে জালিয়াতি করতে সব ধরনের সহায়তা দেয়। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ কর্মকর্তা এই জালিয়াতির সুযোগ করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। জালিয়াতির ঘটনা যাতে উদ্‌ঘাটিত না হয়, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। হাতে গোনা কয়েকজন কর্মকর্তা জালিয়াতির কথা জানতে পেরে তা উদ্‌ঘাটনের ব্যবস্থা নিলে তাঁদের বদলি করা হয় এক দিনের নোটিশে। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীদের পৃষ্ঠপোষকতাও ছিল। এ ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর একাধিক উপদেষ্টা ও একজন প্রতিমন্ত্রীর নামও পাওয়া গিয়েছিল।

হল-মার্ক গ্রুপের এমডি ছিলেন তানভীর মাহমুদ আর চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর স্ত্রী জেসমিন ইসলাম। এক যুগ আগের এই ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা এক মামলায় ২০২৪ সালের মার্চে তানভীর মাহমুদ, জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাসেম। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, যে অপরাধীরা দেশের জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিকে খেলো মনে করেন, তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত বলে আদালত মনে করেন। তবে সংশ্লিষ্ট আইনে এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন, তাই তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

কীভাবে এই কারসাজি হয়, তা নিয়ে ২০১৬ সালে প্রথম আলোতে একটি বিশেষ লেখা প্রকাশ হয়। বলা হয়, ব্যাংক থেকে হল-মার্কের নেওয়া পৌনে তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও চলতি মূলধনজাতীয় ঋণও আছে। তবে এ অর্থের ৮০-৮৫ ভাগই নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানীয় ঋণপত্র (এলসি) খুলে বের করে নেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে কিছু উদাহরণ দেওয়া হয়।

যেমন ২০১১ সালের দিকে হল-মার্ক গ্রুপ রূপসী বাংলা শাখায় সুতা কিনতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস ও স্টার স্পিনিং মিলসের অনুকূলে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থানীয় ঋণপত্র খোলে। বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তিনটিও একই শাখার গ্রাহক। একই দিনে এই এলসির অর্থ পরিশোধে নিশ্চয়তা (অ্যাকসেপটেন্স) দেয় হল-মার্ক। তার বিপরীতে একই শাখা তিন প্রতিষ্ঠানের (অ্যাকসেপটেন্স বিল কিনে নিয়ে) হিসাবে টাকা জমাও করে দিয়েছে। এলসির প্রক্রিয়াটি ছিল কাগজপত্রে। কিন্তু নির্ধারিত অংশ জমা রেখে (মার্জিন) ব্যাংক তিন কোম্পানির হিসাবেই টাকা জমা করে দেয়।

এর কয়েক দিন পরই এই প্রতিষ্ঠান তিনটি ওই পুরো টাকা হল-মার্ককে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেয় ব্যাংককে। ব্যাংক যথারীতি এই তিন প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে অর্থ কেটে হল-মার্কের হিসাবে জমা করে নতুন নজির তৈরি করে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরে হল-মার্কের হিসাব থেকে সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের নামে খোলা একটি চলতি হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে টাকাগুলো ‘সুচতুরভাবে’ বের করে নেয় হল-মার্ক গোষ্ঠী। আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস ও স্টার স্পিনিং মিলস এবং সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের নামে খোলা চলতি হিসাবগুলো অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান। এগুলো প্রকৃত অর্থে হল-মার্কের বেনামি প্রতিষ্ঠান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংক থেকে অর্থ বের করে নেওয়ার ক্ষেত্রে হল-মার্ক ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছে। প্রাথমিকভাবে এগুলো ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল এমন ৮৪টি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের তথ্য পেয়েছিল। সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদনে এর মধ্যে গোটা বিশেক প্রতিষ্ঠানকে ‘নিশ্চিত ভুয়া’ বলা হয়।

কেলেঙ্কারির পথ দেখায় হল–মার্ক

হল-মার্ক কেলেঙ্কারি বাংলাদেশের ব্যাংক দুর্নীতির ইতিহাসে এক টার্নিং পয়েন্ট। একটি স্বল্প পরিচিত ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান রাতারাতি হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে নেয় রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক থেকে। তা–ও আবার ব্যাংকের ভেতরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে।

এই ঘটনা ব্যাংক লুটেরাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে কীভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানার দুর্বল ব্যাংকগুলোকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে এবং ব্যাংকের ভেতরের সুরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে, দেশের জনগণের আমানতকে সহজে আত্মসাৎ করা যায়। হল-মার্কের লুটের মডেলটিই পরবর্তীকালের ব্যাংক খেকোদের কাছে একধরনের ‘ম্যানুয়াল’ বা নির্দেশিকা হয়ে দাঁড়ায়। পরে আরও অভিনব কৌশল করা হয়।

হল–মার্কের দেখানো পথে অন্যরা

হল-মার্কের ঘটনা স্পষ্ট হওয়ার পরই একের পর এক বড় আকারের ব্যাংক জালিয়াতি ও লুটের ঘটনা সামনে আসে। ছিল প্রকাশ্যে ব্যাংক দখল করে লুটপাটের ঘটনাও। হল–মার্কের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয় বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে ঋণ বিতরণ করা হয়, যেখানে চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। তখন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। একসময়ের ভালো এই ব্যাংক এর মাধ্যমে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেওয়া হয়। সোনালী ব্যাংকের হল–মার্ক কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অভিযুক্তরা আটক হলেও বেসিক ব্যাংকের সবাই পার পেয়ে যায়। ফলে এখন পর্যন্ত কারও বিচার হয়নি।

একই সময়ে জনতা ব্যাংক থেকে অ্যাননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপ বিধিবহির্ভূতভাবে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বের করে নেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপ একাই নেয় ২৩ হাজার কোটি টাকা।

২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা–ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ শুরু করে ব্যাংক দখল। প্রথমে কমার্স ব্যাংক, এরপর ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয়। পাশাপাশি ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামীও তার নিয়ন্ত্রণে যায়। এস আলম একাই তুলে নেয় ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। সরকার পরিবর্তনের পর এখন বিষয় প্রকাশ্যে আসছে।

খেলাপি ঋণ, ব্যাংক একীভূতকরণ ও আইন পরিবর্তন

ব্যাংক কেলেঙ্কারির এই লাগামহীন ধারাবাহিকতার চরম পরিণতি হিসেবে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পাহাড় তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছরই খেলাপি ঋণের পরিমাণ রেকর্ড ভাঙছে, যার বড় জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া। বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত না আসায় ব্যাংকগুলোর মূলধনঘাটতি তৈরি হয়েছে এবং সাধারণ গ্রাহকের আমানত ঝুঁকিতে পড়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক আইন, ব্যাংক কোম্পানি আইনসহ নানা আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

দুর্বল ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নতি না হওয়ায় ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একীভূত হতে যাওয়া ওই পাঁচ ব্যাংক হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলো তারল্যসংকটের কারণে গ্রাহকেরা টাকা তুলতে সমস্যায় পড়ছেন, কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছে।

হল–মার্ক কেলেঙ্কারি ছিল একটি সতর্কতা সংকেত। এই কেলেঙ্কারির পর সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিলে হয়তো পরবর্তী লুটপাটগুলো ঠেকানো যেত। কিন্তু তা না হওয়ায় এক যুগ ধরে চলা এই লুটপাট দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড দুর্বল করে দিয়েছে। লুটেরাদের সাহস ও প্রভাব বাড়ার কারণে আজ ব্যাংকিং খাত এক চরম আস্থার সংকটে ভুগছে। মো. তানভীর মাহমুদের মৃত্যুতে হয়তো হল–মার্কের একটি অধ্যায় শেষ হলো, কিন্তু এর রেখে যাওয়া ক্ষতচিহ্ন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আজও গভীর হয়ে থাকল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হল ম র ক ক ল ঙ ক র হল ম র ক গ র প র য় হল ম র ক হল ম র ক র র ব যবস থ ল ইসল ম ক র পর গ র হক এক ভ ত ল টপ ট ব র কর র ঘটন অপর ধ সরক র ক দখল

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা কর্মবিরতিতে, হচ্ছে না বার্ষিক পরীক্ষা

দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা আজ সোমবার থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এর ফলে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন বিদ্যালয় গতকালই নোটিশ দিয়ে আজকের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানিয়েছে।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল গতকালই নোটিশ দিয়ে আজকের পরীক্ষার না নেওয়ার কথা জানিয়েছে। সকালে খুলনায় অবস্থিত সরকারি করোনেশন গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষক জানান তাঁদের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। রাজধানীর অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলেও বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। এ ছাড়াও শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়েও আজকের পরীক্ষা হয়নি।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে। এই সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয় যদি তাঁদের দাবিগুলো পূরণের বিষয়ে রূপরেখাসহ সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেন তাহলে তাঁরা শিক্ষার্থী ও জাতীয় স্বার্থে কর্মবিরতি রাখবেন না।

এর আগে গতকাল আন্দোলনকারী শিক্ষকদের আরেকজন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, সরকার দাবি মেনে নিলে সপ্তাহের ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার বাকি পরীক্ষাগুলো নেবেন তাঁরা এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ করবেন। আর দাবি না মানলে কর্মবিরতি চলবে।

মাধ্যমিক শিক্ষকদের চারটি দাবি হলো

১. সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক‍্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’-এর গেজেট প্রকাশ।

২. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা।

৩. সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া।

৪. ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২ থেকে ৩টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ