খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ২ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
Published: 16th, November 2025 GMT
খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ২ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাগেরহাটসহ ৭ জেলার ১০টি আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি।
সরকারের অনুমতি ছাড়া নিলামে কেনা বিআরটিসি বাস ও ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমনসহ সকল প্রকার থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও শহীদ মিনার সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা। এ সময় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
মালিক সমিতির পক্ষ থেকে রুপসা বাগেরহাট বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি সভাপতি মো.
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণাঞ্চলের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে বৈষম্য ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আসছে। সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বিআরটিসি নামধারী গাড়িগুলো লাগামহীনভাবে সড়কগুলোতে চলাচল করছে। বিআরটিসি গাড়ি নিলাম কিনে কোনোরকম মেরামত করে বিআরটিসির নাম ব্যবহার করে চলাচল করছে, যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী। প্রভাবশালীরা ডিপো ম্যানেজারদের সাথে অনৈতিক যোগসাজস করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসায় অভ্যন্তরীণ রুটে বাস মালিক ও শ্রমিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়া, সরকারি অনুমোদনবিহীন অবৈধ ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, নছিমন, করিমন যত্রতত্র বেপরোয়া ও খুশিমতো চলাচল ও যাত্রী বহন করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাহান মিনা, সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দিন জিয়াম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, অর্থ সম্পাদক মতিউর রহমান, লাইন সাধারণ সম্পাদক সরদার জসীমসহ মালিক সমিতির সদস্যসহ অন্য জেলার নেতারা।
আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতিগুলোর তিন দফা দাবির মধ্যে আছে— সরকারের অনুমোদন ব্যতীত চলাচলরত বিআরটিসি ও লিজ করা বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করতে হবে। বিআরটিসির সব কাউন্টার অপসারণ করতে হবে এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জেলার মালিক সমিতির শৃঙ্খলা মোতাবেক বিআরটিসি বাস পরিচালনা করতে হবে। ইজিবাইক, মাহিন্দ্রসহ সকল প্রকার থ্রি হুইলারকে জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক বাদে পার্শ্ববর্তী সড়কে চলাচল করতে হবে এবং দূরপাল্লা পরিবহন জেলা টার্মিনাল থেকে চলাচল করবে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ও বর শ ল ব ভ গ ব গ রহ ট ব আরট স পর বহন র বহন
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ২ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ২ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাগেরহাটসহ ৭ জেলার ১০টি আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি।
সরকারের অনুমতি ছাড়া নিলামে কেনা বিআরটিসি বাস ও ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমনসহ সকল প্রকার থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও শহীদ মিনার সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন মালিক সমিতির নেতাকর্মীরা। এ সময় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
মালিক সমিতির পক্ষ থেকে রুপসা বাগেরহাট বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া বিআরটিসি বাস ও ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমনসহ সকল প্রকার থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেও সমঝোতা হয়নি। আমাদের তিন দফা দাবি তারা মেনে না নেওয়ায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সাত জেলার ১০টি বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২ ডিসেম্বর থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৮ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণাঞ্চলের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বিভিন্নভাবে বৈষম্য ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আসছে। সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বিআরটিসি নামধারী গাড়িগুলো লাগামহীনভাবে সড়কগুলোতে চলাচল করছে। বিআরটিসি গাড়ি নিলাম কিনে কোনোরকম মেরামত করে বিআরটিসির নাম ব্যবহার করে চলাচল করছে, যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী। প্রভাবশালীরা ডিপো ম্যানেজারদের সাথে অনৈতিক যোগসাজস করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসায় অভ্যন্তরীণ রুটে বাস মালিক ও শ্রমিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়া, সরকারি অনুমোদনবিহীন অবৈধ ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, নছিমন, করিমন যত্রতত্র বেপরোয়া ও খুশিমতো চলাচল ও যাত্রী বহন করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাহান মিনা, সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দিন জিয়াম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, অর্থ সম্পাদক মতিউর রহমান, লাইন সাধারণ সম্পাদক সরদার জসীমসহ মালিক সমিতির সদস্যসহ অন্য জেলার নেতারা।
আন্তঃজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতিগুলোর তিন দফা দাবির মধ্যে আছে— সরকারের অনুমোদন ব্যতীত চলাচলরত বিআরটিসি ও লিজ করা বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করতে হবে। বিআরটিসির সব কাউন্টার অপসারণ করতে হবে এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জেলার মালিক সমিতির শৃঙ্খলা মোতাবেক বিআরটিসি বাস পরিচালনা করতে হবে। ইজিবাইক, মাহিন্দ্রসহ সকল প্রকার থ্রি হুইলারকে জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক বাদে পার্শ্ববর্তী সড়কে চলাচল করতে হবে এবং দূরপাল্লা পরিবহন জেলা টার্মিনাল থেকে চলাচল করবে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক