ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাসা বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বামী স্ত্রীসহ ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে আশুলিয়ার জিরাব পুকুরপাড় এলাকার একটি দোতলা বাড়ির নিচ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- মিজানুর রহমান (৩০), তার স্ত্রী সাবিনা বেগম (২৫), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া জয়নব বেগম (৩৫) ও জয়নবের ভাগিনা আশরাফুল ইসলাম (২৫)। তারা সবাই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায়  চাকরি  করেন।

দগ্ধ সাবিনার ভাই সোহেল রানা জানান, ভোরে রান্না ঘরে গ্যাস লিকেজের গন্ধ পান মিজানুর রহমান নামে এক ভাড়াটিয়া। তাৎক্ষণিক রান্নার জন্য সবাইকে নিষেধ করেন তিনি। তবে পাশের বাসার এক ভাড়াটিয়া নিষেধ না শুনেই রান্না শুরু করলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় রান্না ঘরের আশপাশে থাকা চারজনের শরীরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে স্থানীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দগ্ধ সাবিনার ভাই সোহেল রানা জানান, বাসাটির নিচতলায় কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকে। বাড়িটিতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না করেন তারা। রান্নাঘরে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। প্রতিটি পরিবারের সদস্যই স্থানীয় বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার মধ্যে একটি সিলিন্ডারের রাইজার থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। সেটি দেখে ভোরে মিজানুর সেই রাইজার খুলে রেখেছিলেন এবং সব ভাড়াটিয়াদের বলে রেখেছিলেন, কেউ যেন আপাতত রান্না না করে। তবে সকাল ছয়টার দিকে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া জয়নব সেই কথা না শুনে রান্নার প্রস্তুতি নেয় এবং দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে রান্না ঘরের আশপাশে থাকা চারজনের শরীরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে স্থানীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

দগ্ধ জয়নব বেগমের স্বামী খাদেমুল ইসলাম দাবি করে বলেন, গ্যাস লিকেজের বিষয়টি তাদের বা তার স্ত্রীকে কেউ জানায়নি। সকালে তার স্ত্রী রান্না করার জন্য আগুন জালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে তার স্ত্রী ও তার ভাগিনা দগ্ধ হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা.

শাওন বিন রহমান জানান, মিজানুরের শরীরের ২০ শতাংশ ও সাবিনার ১৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের দুজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকি দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে জয়নবের ৪৫ আর আশরাফুলের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের দুজনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, স্বামী-স্ত্রীসহ দগ্ধ ৪

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাসা বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বামী স্ত্রীসহ ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে আশুলিয়ার জিরাব পুকুরপাড় এলাকার একটি দোতলা বাড়ির নিচ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- মিজানুর রহমান (৩০), তার স্ত্রী সাবিনা বেগম (২৫), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া জয়নব বেগম (৩৫) ও জয়নবের ভাগিনা আশরাফুল ইসলাম (২৫)। তারা সবাই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায়  চাকরি  করেন।

দগ্ধ সাবিনার ভাই সোহেল রানা জানান, ভোরে রান্না ঘরে গ্যাস লিকেজের গন্ধ পান মিজানুর রহমান নামে এক ভাড়াটিয়া। তাৎক্ষণিক রান্নার জন্য সবাইকে নিষেধ করেন তিনি। তবে পাশের বাসার এক ভাড়াটিয়া নিষেধ না শুনেই রান্না শুরু করলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় রান্না ঘরের আশপাশে থাকা চারজনের শরীরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে স্থানীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দগ্ধ সাবিনার ভাই সোহেল রানা জানান, বাসাটির নিচতলায় কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকে। বাড়িটিতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না করেন তারা। রান্নাঘরে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। প্রতিটি পরিবারের সদস্যই স্থানীয় বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার মধ্যে একটি সিলিন্ডারের রাইজার থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। সেটি দেখে ভোরে মিজানুর সেই রাইজার খুলে রেখেছিলেন এবং সব ভাড়াটিয়াদের বলে রেখেছিলেন, কেউ যেন আপাতত রান্না না করে। তবে সকাল ছয়টার দিকে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া জয়নব সেই কথা না শুনে রান্নার প্রস্তুতি নেয় এবং দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে রান্না ঘরের আশপাশে থাকা চারজনের শরীরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে স্থানীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

দগ্ধ জয়নব বেগমের স্বামী খাদেমুল ইসলাম দাবি করে বলেন, গ্যাস লিকেজের বিষয়টি তাদের বা তার স্ত্রীকে কেউ জানায়নি। সকালে তার স্ত্রী রান্না করার জন্য আগুন জালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে তার স্ত্রী ও তার ভাগিনা দগ্ধ হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মিজানুরের শরীরের ২০ শতাংশ ও সাবিনার ১৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের দুজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকি দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে জয়নবের ৪৫ আর আশরাফুলের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের দুজনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ