নড়াইলের কালিয়া উপজেলার উত্তর খাশিয়াল গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে সাকিব শেখ (৫) ও মানিক রায়হান (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (১২ জুলাই) রাতে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের খাশিয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশু সম্পর্কে মামাতো- ফুফাতো ভাই।

নিহত সাকিব শেখ উত্তর খাশিয়াল গ্রামের জাকাত শেখের ছেলে। মানিক রায়হান বরিশালের আরিফুল ইসলামের ছেলে। সে তার মায়ের সাথে মামা বাড়িতে বসবাস করত।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে একসাথে সাকিব ও তার ফুপাতো ভাই মানিক খেলছিল। সেসময় পরিবারের লোকজন যার যার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরিবারের অজান্তে একসময় বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় তারা। 

সন্ধ্যা হলেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। এরপরে খোঁজ করে পুকুর থেকে আরেক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আশিকুর রহমান রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে বলেন, “আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সাকিব ও মানিকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/শরিফুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনীতি বুঝি না, করিও না: অপু বিশ্বাস

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন অপু বিশ্বাস। শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আজ আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আমি একজন অভিনয়শিল্পী, অভিনয় আমার মূল কাজ। অভিনয়ের জন্য আমি অনেক কিছু করেছি। আমি রাজনীতি বুঝি না, করিও না। আমার আইনজীবীরা আইনের বিষয়ে আরও যত্নশীল। তারা এ বিষয়ে কথা বলবেন।’

এর আগে গত ১০ জুলাই অপু বিশ্বাস সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেন। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাসের আইনজীবী আবুল বাশার কামরুল বলেন, ‘গত ২ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান অপু বিশ্বাস। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অপু বিশ্বাস স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।’

এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় একজন ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে। এই মামলায় অপু বিশ্বাস ছাড়াও আরো ১৬ জন শিল্পীর নাম রয়েছে এজাহারে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ-আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা সরকারি দলের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

একই মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করা হয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে। দুইদিনের মাথায় জামিন পান এই অভিনেত্রী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এসময় এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিনশ’-চারশ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন এনামুল হক। এই মামলায় ২০৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি অপু বিশ্বাস।

মামলায় অপু বিশ্বাস ছাড়াও আশনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ