গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে নতুন নিয়োগ, পদ ৫৯
Published: 13th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট সম্প্রতি লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজস্ব খাতের ২০টি পদে মোট ৫৯ জনকে নিয়োগে প্রকাশ করা হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন চলছে।
পদের নাম ও পদসংখ্যা-১. সিনিয়র সহকারী পরিচালক
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০।
২.
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৬
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০।
৩. খামার তত্ত্বাবধায়ক
পদসংখ্যা: ৪
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০।
৪. সহকারী পরিচালক
পদসংখ্যা: ২
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০।
৫. মেডিকেল অফিসার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০।
৬. সহকারী প্রকৌশলী
পদসংখ্যা: ২
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০।
৭. সহকারী মেইনটেন্যান্স (ইঞ্জিনিয়ার)
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০।
৮. হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০।
৯. উপসহকারী প্রকৌশলী
পদসংখ্যা: ৩
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০।
১০. ব্যক্তিগত সহকারী
পদসংখ্যা: ১
বেতনস্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০।
১১. হিসাবরক্ষক
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০।
১২. প্রধান সহকারী
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০।
১৩. উচ্চমান সহকারী
পদসংখ্যা: ৩
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০।
১৪. বৈজ্ঞানিক সহকারী
পদসংখ্যা: ১৫
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০।
১৫. অডিটর
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০।
১৬. কম্পাউন্ডার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০।
১৭. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৫
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০।
১৮. টেকনিশিয়ান
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০।
১৯. স্টোর কিপার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০।
২০. অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ৮
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০।
প্রতিটি পদে আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও বয়সসীমার শর্তাবলি জানা যাবে বিজ্ঞপ্তিতে।
চাকরির আবেদনের বয়স
আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স এ বছরের ২০ জুলাই তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আবেদনের নিয়মআগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন। আবেদনের সুযোগ ২০ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত।
আবেদনের বিস্তারিত ও আবেদনের পদ্ধতি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহক র পদস খ য সহক র প প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৫০ শিক্ষকের পদ শূন্য, কারণ কী
রাঙামাটি সদর উপজেলার মাচ্ছ্যাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ রয়েছে ১২টি। তবে এর বিপরীতে কর্মরত মাত্র ৭ জন। বাকি ৫টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে আছে। এতে বিদ্যালয়টিতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। মাচ্ছ্যাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৬৫ জন। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি থেকে পাস করেছে মাত্র ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী।
কেবল এই বিদ্যালয় নয়, রাঙামাটিতে সরকারি ও এমপিওভুক্ত প্রায় সব কটি বিদ্যালয়েই রয়েছে এমন শিক্ষকসংকট, যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ফলাফলে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১। এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১০৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ প্রায় ১ হাজার ৭০০। তবে এর মধ্যে ৬৫৭ পদে শিক্ষক নেই।
শিক্ষকসংকটের কারণে একজন শিক্ষককে ৪ থেকে ৫টি করে ক্লাস নিতে হয়। অনেক সময় পূর্বনির্ধারিত ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না।মো. তাজুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।মাচ্ছ্যাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবাস বসু চাকমা বলেন, ‘শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো ক্লাস নেওয়া যায় না। শিক্ষকসংকট নিরসনের জন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে আসছি।’
জেলা সদরের রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে ৫৩ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত মাত্র ২৯ জন, ২৪টি পদ খালি রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ রয়েছে ১০টি, তবে মাত্র ২ জন কর্মরত। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের ২টি পদ খালি পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকসংকটের কারণে একজন শিক্ষককে ৪ থেকে ৫টি করে ক্লাস নিতে হয়। অনেক সময় পূর্বনির্ধারিত ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না।’
এসএসসি পরীক্ষায় রাঙামাটিতে ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তবে ২০২৫ সালে পাসের হার ৫৫ দশমিক ৯৮ শতাংশে নেমে আসে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শূন্য ৬৫৭টি পদের মধ্যে ৫৫৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বাকি শূন্য পদগুলো ১১টি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে।
শিক্ষকসংকট নিরসন ও শিক্ষার্থীদের আবাসনসংকট দূর করতে জেলা প্রশাসক সম্মেলনকে সামনে রেখে বেশ কিছু প্রস্তাব ও সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর এসব প্রস্তাব পাঠানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে রাঙামাটি জেলার লংগদু, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়গুলোয় ৫৩ জন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা; বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যালয়গুলোয় শূন্য পদে জনবল পদায়ন ও শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা; বিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা।সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জুরাছড়ি ভুবনজয় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২০টি, রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ১৯টি, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২৪টি, রাজস্থলী তাইতংপাড়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৮টি, কাউখালী পোড়াপাড়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ১টি, কাপ্তাই নাড়ানগিরি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২০টি, নানিয়ারচর সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে ২টি, বাঘাইছড়ি কাচালং সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২টি, বরকল সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে ১টি, লংগদু সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৪টি, বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়।
এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের মধ্যে লংগদুতে ৯৭টি, কাউখালীতে ৮৬টি, বরকলে ৫৩টি, জুরাছড়িতে ১৩টি, বিলাইছড়িতে ৪টি, নানিয়ারচরে ৩১টি, কাপ্তাইয়ে ৭৮টি, বাঘাইছড়িতে ৬৯টি, রাজস্থলীতে ২৩টি, রাঙামাটি সদরে ১০০টি শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনআরটিসিএ) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়।
রাঙামাটি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়। সম্প্রতি তোলা