অপরাধীদের ধরতে সারা দেশে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা
Published: 13th, July 2025 GMT
অপরাধীদের ধরতে এখন থেকেই দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যেকোনো সময় চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে।”
কবে থেকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘“এটা এখন থেকেই।”
তিনি আরো বলেন, “খুন, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মব সহিংসতা, মাদক চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এই কাজে সাধারণ জনগণসহ সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সরকার জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যেকোনো কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল সম্প্রতি ঢাকার মিটফোর্ডে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আজকের বৈঠকে মিটফোর্ডের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা একটা সভ্য সমাজে কোনো অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি জানান, শুধু মিডফোর্ড নয়—সম্প্রতি দেশজুড়ে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে, দ্রুতই তারা অ্যাকশনে যাচ্ছে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বৈঠকে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, চোরাচালান ও সন্ত্রাস দমন, সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, উস্কানিমূলক সাইবার প্রচারণা রোধ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, মাদকের অপব্যবহার রোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান, গার্মেন্টস শিল্প এলাকায় নিরাপত্তা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা—সবই আলোচনায় এসেছে।
এছাড়া, জুলাই মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলা ও তদন্ত অগ্রগতির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে মিটফোর্ডের ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।