চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাফিয়াদের উৎপাত বন্ধে যৌথ বাহিনী নামানো দরকার: নুরুল হক
Published: 13th, July 2025 GMT
সম্প্রতি চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাফিয়াদের যে উৎপাত দেখা যাচ্ছে, তা বন্ধে যৌথ বাহিনী নামানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখছি, কোনো রাজনৈতিক দল চাঁদাবাজি, খুন, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি সমর্থন করছে না বলে সভা-সমাবেশ ও গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছে। কিন্তু আমরা এটাও দেখি, পুলিশ-প্রশাসন যখন কোনো চাঁদাবাজকে ধরে নিয়ে যায় তখন দলীয় নেতা-কর্মীরা থানা ঘেরাও করে তাদের ছাড়িয়ে আনে।’
রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গক্রমে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পর্যন্ত নিয়মিত যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করতে পারে। বিশেষ করে শিল্প এলাকাকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের আধিপত্য বাড়ছে। যৌথ বাহিনী সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে, আমরা ধারণা এ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’
জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিবেশ তৈরির জন্য স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে এখন জনপ্রতিনিধি নেই। সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান নেই। তাদের যে কাজ, সেটা কে করবে? ইউএনও করছে! কিন্তু ইউএনওকে নিয়েও দলগুলো টানাটানি করে। আজ নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই বলেই এসব হচ্ছে। যদি একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকতো, ইউএনও তার সহযোগিতা নিয়ে কাজগুলো সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারতো। সে কারণে আমরা বলছিলাম- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার জন্য। নির্বাচনের একটি পরিবেশ তৈরির জন্যও স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম মিলেমিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করি। তারপরও ৫ আগস্টের পরে দেশে নাকি সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে, জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুর, ধর্ষণ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের আশপাশে এমনটি হয়নি। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়তো ঘটেছে। আমি মনে করি, এ গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা অনেক সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে, অনেক সহনশীল ছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লে ৫ লাখ লোকের লাশ পড়বে। ৫০০ লোকেরও লাশ পড়েনি। মানুষ তো সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র ন র ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
হবিগঞ্জে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন, ১৪ জনকে কারাদণ্ড
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সিলিকা বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলা উলুকান্দি গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে নুর উদ্দিন (৩৩), নিশাপট গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে জাকারিয়া (২৬), আব্দুল্লাপুর গ্রামের মতলিব মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৩২), কাঠালবাড়ি শানখলা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (২১), পূর্ব পঞ্চাশ গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে ওয়াহিদ মিয়া (২৩), মহিমাউড়া শানখলা গ্রামের আব্দুল হাইর ছেলে আব্দুল করিম জুনেদ (১৯), কাঠালবাড়ি গ্রামের মো. আইদর আলীর ছেলে মো. ইউসুফ (২৩), হলহলিয়া বাবুল মিয়ার ছেলে মো. এনামুল হক (১৯), ডেউয়াতলী শানখলার আব্দুল মন্নানের ছেলে মো. জামাল মিয়া (২১), ফান্দ্রাইল শানখলার মতিন মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৪), বরমপুর গ্রামের মো. মহিদুল আলীর পুত্র ছেলে নয়ন মিয়া (২২), দেউন্দি গ্রামের আনজব আলীর ছেলে মো. আতর আলী (৪২), দেউন্দির মো. আনজব আলীর ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৪৩), কাঠালবাড়ি বদরগাজির ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে মো. সারাজ মিয়া (৩০)।
আরো পড়ুন:
ইবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিল ছাত্রদল
জাতীয় পতাকার দণ্ডে জুতা উত্তোলন, তরুণ আটক
ইউএনও শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের বদরগাজী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন করে আসছিল একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের কয়েকটি দল। এ সময় বালুভর্তি কয়েকটি ট্রাকসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব