বন্দরে চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
Published: 22nd, July 2025 GMT
বন্দরে জোবিঅ-বন্দর কর্তৃক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া ও ফুলহর এলাকায় গড়ে উঠা ৫টি চুন ফ্যাক্টরীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নেতৃত্বে এ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
ওই সময় বন্দর উপজেলার মদনপুর কুড়িপাড়া ফুলহর এলাকায় চুন ফ্যাক্টরি (মোট ৫ ভাট্টি বিশিষ্ট) সংযুক্ত লোড আনুমানিক ১০০০০ পভঃ মালামাল অপসারণ করা হয়। অপসারিত মালামাল হলো ২" পাইপ প্রায় ৫০ফিট, ৪" পাইপ প্রায় ০৭ ফিট, ২" ভাল্ব- ২ টি, ২" সার্ভিস টি-২ টি ৫, বার্নার ৩ টি, বেলচা-১৫ টি।
অভিযানে চুন কারখানা মালিককে স্পটে না পাওয়ার কারণে জেল-জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর মৌখিক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে চুন ফ্যাক্টরির মালিক ও জায়গার মালিকের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক লিগ্যাল বিভাগ-নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক থানায় ঋওজ এর উদ্দেশ্যে অভিযোগ দায়ের করা হবে ।
অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক্সক্যাভেটর মেশিনের মাধ্যমে স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও চুন ভিজিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
মদনপুর থেকে আকিজ সিমেন্ট গামী ৮" ১৪০ পিএসআই বিতরণ লাইন হতে অবৈধ ভাবে স্থাপিত ২টি লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অবৈধ বিতরণ লাইনের সংযোগ উৎসে কিলিং করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল