ঝিনাইদহে তিন গ্রামের আবাদি জমি পানির নিচে, দুর্ভোগে চাষীরা
Published: 22nd, July 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় তিন গ্রামের প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো চাষী। বৃষ্টির পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা না থাকায় কোনো চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা।
চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নরদহি, মোল্যাডাঙ্গা ও বগেরগাছি এই তিন গ্রামের প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে। কোনো আবাদই করতে পারছেন না তারা। এতে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে এই এলাকার চাষীদের। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু সমস্যা নিরসনে বারবার উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগের দাবি জানান তারা।
কওসার শেখ নামে এক চাষী বলেন, “এই মাঠের জলাবদ্ধতা নিষ্কাষণের জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বৃষ্টির পানিতে এই মাঠ একদম তলিয়ে যায়। কোনো চাষাবাদ করা যায় না।”
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় নিহত অন্তত ২১১
হবিগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে সেতু ভেঙে দুর্ভোগ
সন্তোষ গাইন নামে আরেক চাষী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের পানি জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। এই মাঠের হাজার হাজার বিঘা জমি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। শুধু পানির কারণে কোনো আবাদ করা যায় না। যদি এই পানি নিষ্কাষণ করা হয় তাহলে এই এলাকার মানুষ স্বস্তি পাবে। তারা চাষাবাদ করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।”
শুকুর আলী বলেন, “এই মাঠে আমার ১০ বিঘা জমি আছে। এই মাঠের জমি ছাড়া আমার অন্য কোথাও জমি নেই। এই জমির উপরেই সংসার চালাতে হয়। কিন্তু পানির কারণে আবাদ হয় না। খুব কষ্টে দিন কাটে আমাদের। এই মাঠের পরেই একটি বাওড় আছে। সেখানে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা হলে এই মাঠের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা যাবে। সরকারের কাছে আবেদন যেন এই পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা করা হয়।”
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.
ঢাকা/শাহরিয়ার/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ চ ষ ব দ কর এই ম ঠ র ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।
অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।
ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।
ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।
স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’
উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’
পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।