ছেলের কাছে হেরে যাওয়াকেই নাকি বাবারা জয় মনে করেন। মোহাম্মদ নবী সেটা মনে করেন কি না, তা আপাতত জানা সম্ভব নয়। তবে মাঠের একটা মুহূর্তের জন্য ছেলেকে নিয়ে তাঁর গর্ব হওয়ারই কথা।

গত শনিবার আফগানিস্তানে শুরু হয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা শপাগিজা ক্রিকেট লিগ। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে গতকাল মুখোমুখি হয়েছে দেশটির তারকা অলরাউন্ডার নবীর দল মিস আইনাক নাইটস ও তাঁর ছেলে হাসান ইসাখিলের দল আমো শার্কস।

কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাবা নবীর প্রথম বলেই বিশাল ছক্কা মেরেছেন ছেলে ইসাখিল। সেই মুহূর্তের ভিডিও দ্রুতই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

আগে ব্যাটিংয়ে নামা আমো শার্কসের রান তখন ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৬৬। স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা হাসান ইসাখিল তখন ২৩ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত। এমন সময় সানগ্লাস পরে বোলিংয়ে আসেন মোহাম্মদ নবী।

রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে নিজের প্রথম বলটা করেন ইসাখিলের পছন্দের স্লটে। সুযোগটা হাতছাড়া করেননি তিনি। সজোরে ব্যাট চালিয়ে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে বল পাঠান সীমানার ওপারে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ছক্কা খাওয়ার পর ছেলের দিকে কয়েক সেকেন্ড বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে পরের বল করতে যান নবী। চুইংগাম চিবোতে থাকা ইসাখিল যেন বাবাকে পাত্তাই দিতে চাননি। একটু হেসে সঙ্গী ব্যাটসম্যান শহীদউল্লাহ কামালের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।

ক্রিকেট মাঠে বিরল এই দৃশ্য নিয়ে ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘মোহাম্মদ নবীকে সম্ভাব্য সেরা উপায়ে স্বাগত জানালেন ইসাখিল।’

বাবা মোহাম্মদ নবীর বলে ছক্কা মারার পর এভাবেই হাসতে থাকেন হাসান ইসাখিল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প কী ভাবছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার বলেছেন, তিনি আপাতত এমন কোনো চুক্তির কথা ভাবছেন না, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে সহায়তা করবে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনা নিয়েও ট্রাম্প অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এসব দেশ পরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষ্য হলো, তিনি যুদ্ধকে আরও তীব্র করতে চান না।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পের সবশেষ এ মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনকে টমাহক দিতে তিনি এখনো অনিচ্ছুক।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছেন?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আসলে তা নয়।’ তবে তিনি যোগ করেন, ভবিষ্যতে নিজের মত বদলাতে পারেন।

গত ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে। বৈঠকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়।

গত শুক্রবার মার্ক রুত্তে বলেন, বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়া হলে পরিণতি ভালো হবে না।

আরও পড়ুনটমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না২০ ঘণ্টা আগে

দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমাহক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়।

ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে টমাহক। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে টমাহক রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ