ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের অর্ধবার্ষিকে মুনাফা কমেছে
Published: 24th, July 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন, ২০২৫) ও অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ৫.৭১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন:
লাফার্জ হোলসিমের অর্ধবার্ষিকে মুনাফা কমেছে
অর্ধবার্ষিকে বিআইএফসির লোকসান বেড়েছে ১০১.
চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.০৭ টাকা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ১.১১ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির মুনাফা কমেছে ০.০৪ টাকা বা ৩.৬০ শতাংশ।
চলতি হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিকে বা ৬ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৯ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ১.৭০ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির মুনাফা কমেছে ০.০১ টাকা বা ০.৫৯ শতাংশ।
২০২৫ সালের ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২.০২ টাকা।
ঢাকা/এনটি/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদোর পাশে ফেলিক্স? ৫০ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে দৌড়াচ্ছে আল-নাসর
সৌদি আরবের ফুটবলে যেন রূপকথার গল্প লেখা হচ্ছে নতুন করে। তারকা তারকায় ভরা দলগুলোর প্রতিযোগিতায় এবার বড় চমক নিয়ে হাজির আল-নাসর। শোনা যাচ্ছে, ৫০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের এক আলোচিত ট্রান্সফার ডিল একেবারে শেষ মুহূর্তে ছিনিয়ে নিতে চলেছে তারা। যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগিজ জাতীয় দলের সতীর্থ, ২৪ বছর বয়সী জোয়াও ফেলিক্স।
নতুন কোচ জর্জ জেসুসের অধীনে ২০২৫-২৬ মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে আল-নাসর। আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা গড়ে তুলছে একটি দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোয়াড। যার অন্যতম বড় চমক হতে চলেছে জোয়াও ফেলিক্স।
ফেলিক্স মূলত ফিরতে যাচ্ছিলেন নিজের পুরনো ক্লাব বেনফিকায়। কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সৌদি ক্লাব আল নাসরের আগ্রহ এবং ফেলিক্সের আগ্রহের সাড়া মিলে ব্যাপারটা পুরো পাল্টে যায়। ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিজিও রোমানোর মতে, এই ডিল এখন অনেকটাই চূড়ান্তের পথে।
আরো পড়ুন:
রাশফোর্ডের অভিষেক, তরুণদের ঝলকে বার্সার জয়
মেসিহীন মায়ামির হতাশা, নাটকীয় ড্রয়ে থমকে গেল স্বপ্নযাত্রা
ফেলিক্স, যিনি ২০২৫ সালের জুনে দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা নেশনস লিগ শিরোপা জয়ের দলে ছিলেন, ইউরোপে একাধিক ক্লাব ঘুরেও নিজের জায়গা পোক্ত করতে পারেননি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা ও সর্বশেষ এসি মিলানে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও, কোথাও স্থায়ী জায়গা করে নিতে পারেননি। ফলে এখন সৌদি আরবে রোনালদোর পাশে নতুন অধ্যায় শুরুর পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২০১৯ সালে বেনফিকা থেকে রেকর্ড ১২৬ মিলিয়ন ইউরোতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফেলিক্স। এরপর বেশ কিছু ধারে খেলা হলেও চেলসিই ছিল তার বর্তমান মালিকানাধীন ক্লাব। তারা এবার তাকে স্থায়ীভাবে বিক্রি করতে চায়, আর বেনফিকাও আগ্রহী ছিল তাকে ফেরাতে।
কিন্তু সমস্যার শুরু চেলসির চাহিদা নিয়ে। তারা ফেলিক্সের জন্য চাইছিল ৫৪ মিলিয়ন ইউরো, যা তারা এক বছর আগে দিয়েছিল। বেনফিকা তাদের প্রস্তাব দেয় ৫০ শতাংশ মালিকানার জন্য ২৫ মিলিয়ন ইউরো। চেলসি পাল্টা চুক্তিতে শর্ত যোগ করে—২০২৭-২৮ মৌসুমে খেলোয়াড় বিক্রি না করলে আরও ১৫ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে এবং ভবিষ্যতের বিক্রিতেও লাভের ৫০ শতাংশ ভাগ। এই শর্ত মেনে নেওয়ার মতো অবস্থা বেনফিকার ছিল না।
ফলে আলোচনার টেবিলেই থেমে যায় তাদের আশা। আর সেই ফাঁকেই এগিয়ে আসে আল-নাসর।
জানা গেছে, আল-নাসরের কোচ জর্জ জেসুস ও অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ব্যক্তিগতভাবে ফেলিক্সকে রাজি করাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিয়মিত খেলার সুযোগ চাইছেন ফেলিক্স, আর সৌদি আরবের মঞ্চে রোনালদোর পাশে সেই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
সব মিলিয়ে, আল-নাসর যদি শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে, তবে সেটা শুধু ক্লাবের জন্য নয়; পুরো সৌদি ফুটবল লিগের জন্যই হবে এক বিশাল পাওয়া।
ঢাকা/আমিনুল