বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেলেও তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দর্শকদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে রান খরার অভিযোগ ছিল দর্শকদের। এবার প্রথম ইনিংসে অন্তত তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দেখাল উল্টো দৃশ্য। এতে ভেঙে যায় মাঠে আসা দর্শকদের হৃদয়।
ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খালি হতে থাকে আসন। হাতেগোনা দর্শক ছিলেন ঝলকের আশায়। নাসুম আহমেদের আউটে অষ্টম উইকেটের পতনের পর গ্যালারিতে চলে উল্লাস। এরপর সাইফউদ্দিন কিছুটা আনন্দ দিতে পারেন!
পাকিস্তানের বাটারদের চার-ছয়ের ফুলঝুরিতে বাংলাদেশের সামনে ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে পাকিস্তান। তাড়া করতে নেমে ১০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সাইফ উদ্দিন সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩৪ বলে এই রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সাইফউদ্দিন এই রান না করলে টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হতে পারত বাংলাদেশ!
আরো পড়ুন:
আহত পন্তের লড়াকু ফিফটির পর ৩৫৮ রানে অলআউট ভারত
পায়ের পাতায় চিড় নিয়ে দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে ফিরলেন পন্ত
বাংলাদেশ প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। ২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে স্বাগতিক শিবির। পাওয়ার প্লেতে আসে ২৯ রান! ৫০ রান না হতেই নাই হয়ে যায় ৭ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর ৭০। তখন শুরু হয়ে যায় হিসাব-নিকাশ। কিন্তু না তা আর হয়নি।
প্রথম ৭ ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র একজন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন। নাঈম শেখ সেই ১০ রান করতে খরচ করেন ১০ বল! শূন্য রান করেন তানজীদ তামিম-মেহেদী হাসান। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সালমান মির্জা। ২ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ।
অথচ প্রথম ম্যাচে একই উইকেটে আগে ব্যাটিং করে মাত্র ১১০ রান করতে পারে পাকিস্তান। এবার ওপেনিং জুটিতেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় রানের বার্তা দেয় আঘা সালমানের দল। সাহিবজাদা ফারহান-সিয়াম আইয়ুবের ৮২ রানের জুটি বড় রানের ভিত গড়ে দেয়। ২১ রানে সিয়াম আউট হতে ভাঙে সেই জুটি। ৬৩ রান করে থামেন ফারহান।
এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল রাখে পাকিস্তান। ১৭ বলে ৩৩ রান করেন নাওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রান করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ৯ বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন সালমান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল